কমফোর্ট উইমেন
From Wikipedia, the free encyclopedia
কমফোর্ট ওমেনরা ছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে এবং বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে জাপানি সেনাবাহিনীর দ্বারা শাসিত অঞ্চলগুলিতে যৌন দাসত্ব করার জন্য জোরপূর্বকভাবে নিয়োজিত নারী এবং মেয়েরা। এই শব্দটি নিয়ে মতবিরোধ এখনো বিদ্যমান। বিশেষত বেঁচে থাকা মহিলারা এবং যে দেশগুলি থেকে তাদের নেওয়া হয়েছিল, তারা "যৌন দাস" এর পরিবর্তে "কমফোর্ট নারী" শব্দটি ব্যবহারে আপত্তি করেছে। "কমফোর্ট নারী" [1] হিসাবে উল্লেখ্য করার জন্য জাপানের পক্ষ থেকে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। কিছু কোরিয়ান পণ্ডিত এই বিষয়ে জাপানের মনোভাবের সমালোচনা করেছেন।
"কমফোর্ট ওমেন" নামটি জাপানি আইয়ানফু (慰安婦) শব্দটির অনুবাদ যার অর্থ পতিতা (গুলি)"[2]। কতজন মহিলা এই কাজে জড়িত ছিলেন তার সংখ্যা অনুমানে ভিন্নতা রয়েছে, যার সংখ্যা কম করে 20,000 (জাপানী ইতিহাসবিদ ইকুহিকো হাটা) থেকে সর্বোচ্চ 360,000 থেকে 410,000 (একজন চীনা পণ্ডিত) পর্যন্ত হতে পারে;কিন্তু সঠিক সংখ্যা নিয়ে এখনও গবেষণা এবং বি্তর্ক হচ্ছে।বেশিরভাগ মহিলাকে কোরিয়া, চীন এবং ফিলিপাইন সহ দখলকৃত দেশ থেকে আনা হয়েছিল। নারীদের বার্মা, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, মালায়া, মাঞ্চুকুও, তাইওয়ান (তখন জাপান শাসিত), ডাচ ইস্ট ইন্ডিজ, পর্তুগিজ তিমুর, নিউ গিনি এবং অন্যান্ স্থানের জাপানের সামরিক "স্বাচ্ছন্দ্য স্টেশন"-এ রাখা হত।ইউরোপীয় কিছু সংখ্যক মহিলা মূলত নেদারল্যান্ডস এবং অস্ট্রেলিয়ার মহিলাদের এই কাজে নিযুক্ত করা হয়েছিল। প্রায় ২০০-৪০০ ডাচ মহিলা্র এই কাজে জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া যায়।[1]
কিছু তথ্য অনুসারে জানা যায়, যুবতী মহিলাদের ইম্পেরিয়াল জাপানের শাসনের অধীনে দেশগুলি থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। অনেক ক্ষেত্রে, মহিলারা কারখানা বা রেস্তোঁরাগুলিতে কাজ করার প্রতিশ্রুতি বা উচ্চ শিক্ষার সুযোগের লোভ দেখানো হয়েছিল; একবার নিয়োগের পরে,তাদের দেশের অভ্যন্তরে এবং বিদেশে উভয় স্থানের কমফোর্ট স্টেশনে বন্দি করে রাখা হয়েছিল।