ভারতের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৭০
From Wikipedia, the free encyclopedia
ভারতের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৭০[lower-alpha 1] ভারতের সাবেক জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে বিশেষ অধিকার প্রদান করেছিল। এটি বৃহত্তর কাশ্মীর অঞ্চলের অংশ, যা ১৯৪৭ সাল থেকে ভারত, পাকিস্তান ও চীনের মধ্যে বিতর্কিত।[3][4] ১৭ নভেম্বর ১৯৫২ থেকে ৩১ অক্টোবর ২০১৯ পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের রাজ্য ছিল এবং অনুচ্ছেদ ৩৭০ এর জন্য পৃথক সংবিধান, পৃথক পতাকা এবং অভ্যন্তরীণ প্রশাসনের জন্য স্বায়ত্তশাসন প্রদান করেছিল।[5][6]
অনুচ্ছেদ ৩৭০ ভারতের সংবিধানের ভাগ ২১-এ ছিল এবং এর শিরোনাম ছিল "অস্থায়ী, অন্তর্বর্তিকালীন ও বিশেষ বিধানসমূহ"।[7][8] এতে উল্লেখ ছিল যে ভারতের সংবিধানের কতটা জম্মু ও কাশ্মীরে প্রযোজ্য, তা জম্মু ও কাশ্মীর সংবিধান সভায় স্থির করা হবে। সংবিধান সভা অনুচ্ছেদ ৩৭০-কে তুলেও দিতে পারে এবং এক্ষেত্রে সমস্ত ভারতের সংবিধান রাজ্যে প্রযোজ্য হবে।
রাজ্য সংবিধান সভা গঠনের পর এটি স্থির করে দিয়েছিল ভারতের সংবিধানের কোন কোন বিধি রাজ্যে প্রযোজ্য হবে এবং এর উপর ভিত্তি করে ১৯৫৪ রাষ্ট্রপতি আদেশ ইস্যু হয়েছিল। যেহেতু অনুচ্ছেদ ৩৭০-এর তুলে দেওয়ার আগেই রাজ্য সংবিধান সভা অবলুপ্ত হয়েছিল, এটা মনে করা হয়েছিল যে অনুচ্ছেদটি ভারতের সংবিধানের স্থায়ী অংশ।[9][10]
৫ আগস্ট ২০১৯-এ ভারত সরকার ১৯৫৪ আদেশকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য নতুন রাষ্ট্রপতি আদেশ জারি করা হয়েছিল এবং ভারতের সংবিধানের সমস্ত বিধি জম্মু ও কাশ্মীরে প্রযোজ্য করে দিয়েছিল। ভারতের সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ফলে পাস হওয়া প্রস্তাবের উপর ভিত্তি করে আদেশটি তৈরি করা হয়েছিল।[11][12][13][14] ৬ আগস্টে অতিরিক্ত আদেশের দ্বারা প্রথম বাদে অনুচ্ছেদ ৩৭০-এর সমস্ত ধারা অকার্যকর হয়ে গিয়েছিল।[15]
এছাড়া সংসদে জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন, ২০১৯ পাস হয়েছিল, যার ফলে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত হয়েছিল: জম্মু ও কাশ্মীর ও লাদাখ।[16][17][18] ৩১ অক্টোবর ২০১৯-এ এই পুনর্গঠন হয়েছিল।
কেন্দ্রীয় সরকারের অনুচ্ছেদ ৩৭০ তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে ২৩টি আবেদন দায়ের হয়েছিল এবং এর শুনানির জন্য পাঁচজন বিচারপতির বেঞ্চ ছিল।[19][20][21]