আল-মুতাদিদ
আব্বাসীয় খলিফা / From Wikipedia, the free encyclopedia
আবুল আব্বাস আহমেদ ইবনে তালহা আল মুওয়াফফাক (৮৫৪ বা ৮৬১ – ৫ এপ্রিল ৯০২) (আল মুতাদিদ বিল্লাহ (আরবি: المعتضد بالله, "Seeking Support in God"[1]) বলে বেশি পরিচিত) ছিলেন ১৬শ আব্বাসীয় খলিফা। ৮৯২ থেকে ৯০২ সাল পর্যন্ত তিনি খলিফার পদে আসীন ছিলেন।
আবুল আব্বাস আল মুতাদিদ বিল্লাহ আহমেদ ইবনে তালহা আল মুওয়াফফাক | |
---|---|
আব্বাসীয় খিলাফতের ১৬শ খলিফা | |
রাজত্ব | অক্টোবর ৮৯২ – ৫ এপ্রিল ৯০২ |
পূর্বসূরি | আল মুতামিদ |
উত্তরসূরি | আল মুকতাফি |
জন্ম | ৮৫৪ বা ৮৬১ খ্রিষ্টাব্দ |
মৃত্যু | ৫ এপ্রিল ৯০২ বাগদাদ |
সমাধি | |
পিতা | আল মুওয়াফফাক |
মাতা | দিরার |
ধর্ম | ইসলাম |
খলিফা আল মুতামিদের শাসনের সময় তত্ত্বাবধায়ক ও কার্যত শাসক আল মুওয়াফফাক ছিলেন আল মুতাদিদের পিতা। রাজপুত্র হিসেবে আল মুতাদিদ তার পিতার অধীনে বিভিন্ন সামরিক অভিযানে অংশ নেন। এর মধ্যে জানজ বিদ্রোহ অন্যতম। বিদ্রোহ দমনে আল মুতাদিদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। ৮৯১ সালের জুনে আল মুওয়াফফাক মারা যাওয়ার তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে আল মুতাদিদ তার স্থলাভিষিক্ত হন। তার চাচাত ভাই ও সম্ভাব্য খলিফা আল মুফাওয়াদের বিষয় এসময় আড়ালে চলে যায় এবং ৮৯২ সালে আল মুতামিদ মারা গেলে আল মুতাদিদ খলিফা হন। পিতার মত আল মুতাদিদের ক্ষমতাও সেনাবাহিনীর সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের উপর নির্ভরশীল ছিল। আব্বাসীয় খলিফাদের মধ্যে আল মুতাদিদ সামরিক দিক থেকে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিলেন। পূর্ববর্তী দশকে নিয়ন্ত্রণ হারানো কিছু অঞ্চলে তিনি নিয়ন্ত্রণ পুনপ্রতিষ্ঠা করেন।
আল মুতাদিদের রাজধানী ছিলো সামারার এ, তিনি যখন তার রাজধানী সামারার হতে বাগদাদে স্থানান্তরিত করে তখন মুতাদিদ প্রাচীন আব্বাসীয় শহরটিকে ধ্বংসস্তূপে পরিনত হয়েছে দেখতে পান।প্রধান জুম'আ মসজিদ ব্যতীত মনসুরের গোলাকার শহরে বিশেষ কোন চিহ্ন অবশিষ্ট ছিলো না, বিখ্যাত ঐতিহাসিক মাসুদী বর্ণনা করেন, মুতাদিদের দুইটি বিষয়ে মোহ ছিলো - নারী ও স্থাপত্যশিল্প।
বাগদাদে ৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি হুসেইনী প্রাসাদ সংস্কার করেন এবং ৪০০০০০ দিনার ব্যয় করে একটি প্রসাদ নির্মান করেন, হুসেইনী প্রসাদ ও নবনির্মিত প্রসাদের সংযোগকারী একটি ভূতল পথ ছিলো, এ সমস্ত প্রসাদে ফ্রেস্কোর কোন নিদর্শন পাওয়া না গেলেও পূর্ববর্তী ইমারতে ব্যবহৃত অলঙ্করন হতে মনে হতে পারে প্রাচীরগাত্র কারুকার্য দ্বারা সুশোভিত ছিলো।