ওমর ব্র্যাডলি
From Wikipedia, the free encyclopedia
ওমর নেলসন ব্র্যাডলি (ফেব্রুয়ারি ১২, ১৮৯৩- ৮ এপ্রিল , ১৯৮১) যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন জেনারেল ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি বিশেষ মেধার অবদান রাখেন। তিনি নবগঠিত পদ 'চেয়ারম্যান অব দ্যা জয়েন্ট চীফস অব স্টাফ কমিটি'র প্রথম নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন এবং এপদে থাকাকালীন তিনি কোরীয় যুদ্ধের পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন।[2]
ওমর ব্র্যাডলি | |
---|---|
১ম চেয়ারম্যান অব দ্যা জয়েন্ট চীফ্স অব স্টাফ | |
কাজের মেয়াদ আগস্ট ১৯, ১৯৪৯ – আগস্ট ১৫, ১৯৫৩ | |
রাষ্ট্রপতি | হ্যারি এস. ট্রুম্যান ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার |
পূর্বসূরী | উইলিয়াম লেহি (সর্বাধিনায়কের প্রধান স্টাফ কর্মকর্তা হিসেবে) |
উত্তরসূরী | আর্থার ডব্লিউ র্যাডফোর্ড |
যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর প্রধান স্টাফ কর্মকর্তা | |
কাজের মেয়াদ ফেব্রুয়ারি ৭, ১৯৪৮ – আগস্ট ১৫, ১৯৪৯ | |
রাষ্ট্রপতি | হ্যারি এস. ট্রুম্যান |
পূর্বসূরী | ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার |
উত্তরসূরী | জে লটন কলিন্স |
যুদ্ধাহতদের পুনর্বাসন বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা | |
কাজের মেয়াদ আগস্ট ১৫, ১৯৪৫ – নভেম্বর ৩০, ১৯৪৭ | |
রাষ্ট্রপতি | হ্যারি এস. ট্রুম্যান |
পূর্বসূরী | ফ্রাঙ্ক হাইন্স |
উত্তরসূরী | কার্ল গ্রে |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ওমর নেলসন ব্র্যাডলি (১৮৯৩-০২-১২)১২ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৩ ক্লার্ক, মিশৌরী, যুক্তরাষ্ট্র |
মৃত্যু | ৮ এপ্রিল ১৯৮১(1981-04-08) (বয়স ৮৮) নিউ ইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র |
সমাধিস্থল | এ্যার্লিংটন জাতীয় কবরস্থান |
শিক্ষা | যুক্তরাষ্ট্র মিলিটারি একাডেমী (ব্যাচলর অব সায়েন্স) |
স্বাক্ষর | |
সামরিক পরিষেবা | |
ডাকনাম | দাদা জেনারেল শীর্ষ জেনারেল |
আনুগত্য | যুক্তরাষ্ট্র |
শাখা | মার্কিন সেনাবাহিনী পদাতিক শাখা |
কাজের মেয়াদ | ১৯১৫-১৯৮১[1] |
পদ | জেনারেল অব দ্যা আর্মি |
কমান্ড | পদাতিক বাহিনী বিদ্যালয় ৮২তম ডিভিশন ২৮তম ডিভিশন দ্বিতীয় কোর ফার্স্ট আর্মি ১২তম আর্মি গ্রুপ সেনাবাহিনীর প্রধান স্টাফ কর্মকর্তা জয়েন্ট চীফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান |
যুদ্ধ | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কোরীয় যুদ্ধ |
পুরস্কার | ডিফেন্স ডিসটিংগুইশ্ড সার্ভিস ম্যাডেল আর্মি ডিসটিংগুইশ্ড সার্ভিস ম্যাডেল (৪) নেভি ডিসটিংগুইশ্ড সার্ভিস ম্যাডেল লেজিয়ন অব মেরিট (২) ব্রঞ্জ স্টার ম্যাডেল প্রেসিডেন্শিয়াল ম্যাডেল অব ফ্রীডম |
মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের র্যানডল্ফ জেলায় জন্মগ্রহণকারী ওমর যুক্তরাষ্ট্র মিলিটারি একাডেমীতে ঢুকার আগে একটি হোটেলে পাচকের কাজ করতেন। ১৯১৫ সালে তিনি একাডেমী থেকে ২য় লেফটেন্যান্ট হিসেবে বের হন, তার ব্যাচমেট ছিলেন ১৯৫৩ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ওমর একজন সাধারণ পদাতিক সৈন্য ছিলেন। যুদ্ধের পর তিনি যুক্তরাষ্ট্র মিলিটারি একাডেমীতে পদাতিক বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন। এরপর তাকে 'ওয়ার ডিপার্টমেন্ট'-এ একটি পদে নিয়োগ দেওয়া হয় জেনারেল জর্জ মার্শালের অধীনে। ১৯৪১ সালে ওমর যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর পদাতিক বিদ্যালয়ের প্রধান অধিনায়ক হন।[3]
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ওমর মেজর-জেনারেল পদে ৮২তম ডিভিশনের অধিনায়ক নিযুক্ত হন। তার দায়িত্ব ছিল উত্তর আফ্রিকায় 'অপারেশন টর্চ' পরিচালনা করা। এরপর ওমর লেঃ জেনারেল পদে পদোন্নতি পেয়ে ২য় কোরের অধিনায়ক হন যেটাকে মধ্যপ্রাচ্যে নামানো হয়। পূর্ণ জেনারেল পদে তিনি 'ফার্স্ট আর্মি' এর সর্বাধিনায়ক নিযুক্ত হন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে তাকে দ্বাদশ সেনাবাহিনী (গ্রুপ) এর প্রধান অধিনায়ক করা হয়।[4]
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে জেনারেল ওমর যুদ্ধাহতদের পুনর্বাসন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রধান কর্মকর্তা হন, এবং ১৯৪৮ সালে তারই ব্যাচমেট জেনারেল ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ারের কাছ থেকে যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর প্রধান স্টাফ কর্মকর্তার দায়িত্ব বুঝে নেন। পরের বছর নতুন তৈরি করা জয়েন্ট চীফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান হন। ১৯৫০ সালে তাকে পাঁচ-তারকা পদে পদোন্নতি দেওয়া হয় এবং ১৯৮১ সালে মৃত্যু পর্যন্ত তিনি এ পদে ছিলেন যদিও ১৯৫৩ সালে তিনি সকল সামরিক দায়-দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পান।[5]