কন্যাকুমারী জেলা
তামিলনাডুর জেলা / From Wikipedia, the free encyclopedia
কন্যাকুমারী জেলা ভারতের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণতম জেলা এবং তামিলনাড়ু রাজ্যের ৩৮টি জেলার অন্যতম। তামিলনাড়ুর জেলাগুলির মধ্যে জনসংখ্যার ঘনত্বের দিক থেকে চেন্নাই জেলার পরেই এটি দ্বিতীয় সর্বাধিক নগরায়িত জেলা। [1] এটি মাথাপিছু আয়ের দিক থেকে তামিলনাড়ুর সবচেয়ে ধনী জেলা,[2] এবং মানব উন্নয়ন সূচকে (এইচডিআই), সাক্ষরতা এবং শিক্ষার ক্ষেত্রেও এই রাজ্যের শীর্ষে রয়েছে। [3][4] জেলার সদর দফতর নাগেরকয়েল ।
কন্যাকুমারী জেলা கன்னியாகுமரி மாவட்டம் | |
---|---|
তামিলনাড়ুর জেলা | |
তামিলনাড়ুর মধ্যে কন্যাকুমারীর অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৮.৩২° উত্তর ৭৭.৩৪° পূর্ব / 8.32; 77.34 | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | তামিলনাড়ু |
জেলা | কন্যাকুমারী |
প্রধান দপ্তর | নাগেরকয়েল |
তালুকা | Agastheeswaram, Kalkulam, Thovalai, Vilavancode, Killiyur, Thiruvattar |
সরকার | |
• জেলা শাসক | M. Arvind, I.A.S |
আয়তন | |
• মোট | ১,৬৭২ বর্গকিমি (৬৪৬ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১৮,৭০,৩৭৪ |
• জনঘনত্ব | ১,১১০.৭/বর্গকিমি (২,৮৭৭/বর্গমাইল) |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | তামিল |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+5:30) |
ডাক সূচক সংখ্যা | 629 xxx |
টেলিফোন কোড | 04652 for নাগেরকয়েল & 04651 for মার্তন্ডম |
যানবাহন নিবন্ধন | টিএন-৭৪ নাগেরকয়েল-য়ের জন্যে এবং টিএন-৭৫ মার্তন্ডম-য়ের জন্যে |
তটরেখা | ৭২ কিলোমিটার (৪৫ মা) |
বার্ষিক বৃষ্টিপাত | ২,৩৮২ মিলিমিটার (৯৩.৮ ইঞ্চি) |
ওয়েবসাইট | www |
কন্যাকুমারী জেলার ভৌগোলিক বৈচিত্র্য অতুলনীয়, জেলাটির তিন দিকে রয়েছে সমুদ্র এবং উত্তর পাশের সীমান্তে পশ্চিম ঘাট পর্বতমালা। কন্যাকুমারী শহরের পশ্চিমে কিছুটা অংশ বাদে প্রায় পুরো জেলাটিই পশ্চিম ঘাট এবং আরব সাগরের মধ্যে অবস্থান করে -এটিই তামিলনাড়ু রাজ্যের একমাত্র জেলা যা আরব সাগরের সাথে সীমান্ত গঠন করে।
ভূতাত্ত্বিকভাবে, জেলার জেলার ভূমিটি রাজ্যের অন্যান্য জেলার তুলনায় অপেক্ষাকৃত নবীন। মায়োসিনের সময় আড়াই মিলিয়ন বছর পরে ভূমিগঠন শুরু হয়েছিল, যার পরে অসংখ্যবার সমুদ্রের সীমালংঘন এবং প্রতিরোধের মাধ্যমে ধীরে ধীরে পশ্চিম উপকূলের তটরেখা গঠিত হয় ।
ঐতিহাসিকভাবে, নানজিনাদ এবং ইদাইনাড়ু অঞ্চলদুটি, যা অধুনাতন কন্যাকুমারী জেলার অন্তর্ভুক্ত, বিভিন্ন তামিল এবং মালায়ালম রাজবংশ দ্বারা শাসিত ছিল: যেমন ভেনাদ রাজবংশ, পান্ড্য রাজবংশ, চের রাজবংশ, চোল রাজবংশ, আয় রাজবংশ এবং নায়ক রাজবংশ। প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যের দ্বারা সেই যুগের বেশ কয়েকটি শিল্পকর্ম উদ্ধার করা হয়েছে। [5] ভারতের স্বাধীনতার পূর্বে ঔপনিবেশিক কালে বেশ কিছুটা অংশ ত্রিবাঙ্কুর রাজবংশের অংশ ছিল। [6] তিরুবনন্তপুরম জেলার আটটি তহসিলের মধ্যে চারটি পূর্ববর্তী ত্রিবাঙ্কুর রাজ্য থেকে আলাদা হয়ে কন্যাকুমারীর নতুন জেলা গঠন করা হয়েছিল এবং ১৯৫৬ সালে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনের সুপারিশক্রমে তাদের মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সীর অংশ করা হয়েছিল। পরে প্রেসিডেন্সীর নামকরণ করা হয়েছিল তামিলনাড়ু এবং কন্যাকুমারী, বর্তমানে তামিলনাড়ু রাজ্যের ৩৮টি জেলার মধ্যে অন্যতম।