ক্যালকুলাস
গণিতের শাখা / From Wikipedia, the free encyclopedia
কলনবিদ্যা বা ক্যালকুলাস হলো অবিচ্ছিন্ন পরিবর্তনের গাণিতিক অধ্যয়ন, ঠিক যেমন জ্যামিতি হলো আকৃতির এবং বীজগণিত হলো পাটিগণিতের ক্রিয়াকলাপ সমূহের সাধারণীকরণের অধ্যয়ন। ক্যালকুলাসের দুটি প্রধান শাখা রয়েছে যার একটি হলো অন্তরকলন এবং অপরটি হলো সমাকলন। অন্তরকলনের সাহায্যে তাৎক্ষণিক পরিবর্তনের হার ও বক্ররেখার ঢাল নির্ণয় করা হয়, এবং সমাকলনের সাহায্যে কোনোকিছুর মোট পরিমাণ ও বক্ররেখা দ্বারা সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল নির্ণয় করা হয়। এই শাখা দুটি ক্যালকুলাসের মৌলিক উপপাদ্যের সাহায্যে সম্পর্কিত এবং তারা অসীম ক্রম এবং অসীম ধারাকে একটি সু-সংজ্ঞায়িত সীমায় রূপান্তর করার মৌলিক ধারণাকে ব্যবহার করে।[1]
আইজাক নিউটন এবং গটফ্রিড ভিলহেল্ম লাইবনিৎস ১৭শ শতাব্দীর শেষের দিকে ইনফিনিটেসিমাল ক্যালকুলাসকে স্বাধীনভাবে বিকশিত করেছিলেন।[2][3] বর্তমানে বিজ্ঞান, প্রকৌশল এবং অর্থনীতিতে ক্যালকুলাসের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।[4] গণিত শিক্ষায় ক্যালকুলাস দ্বারা প্রাথমিক গাণিতিক বিশ্লেষণের পাঠ্যক্রমকে বোঝায়, যা মূলত ফাংশন এবং লিমিট অধ্যয়নের জন্য নিবেদিত। ক্যালকুলাস (বহুবচনে ক্যালকুলাই) শব্দটি লাতিন ভাষা থেকে এসেছে এবং এর অর্থ "নুড়িপাথর"। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনেক ক্ষেত্রেই ক্যালকুলাস একটি বাধ্যতামূলক বিষয়।