ক্লেইন যৌন অভিমুখিতা ছক
মানব যৌন অভিমুখিতার বহুমাত্রিক স্কেল / From Wikipedia, the free encyclopedia
ক্লেইন যৌন অভিমুখিতা ছক (ইংরেজি: Klein Sexual Orientation Grid; সংক্ষেপে: KSOG) একটি পদ্ধতি যার মধ্য দিয়ে মানুষের যৌন অভিমুখিতার বিশদ চারিত্র্য নিরূপণ করা যায়। ফ্রিৎজ ক্লেইন কর্তৃক উদ্ভাবিত এই পদ্ধতি অন্যান্য প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় ব্যাপকতর ভাবে মানুষের যৌন সত্তার অন্ধি-সন্ধি সম্পর্কে ধারণা দিতে সক্ষম।[1] ক্লেইন প্রথম তার ১৯৭৮ সালের বই দ্য বাইসেক্সুয়াল অপশন-এ KSOG বর্ণনা করেন।[2][3][4][5]
মানুষের যৌন অভিমুখিতা নিরূপণে বহুল প্রচলিত কিন্সে স্কেল কেবল দুটি মাত্রা ব্যবহার করে। সে তুলনায় ক্লেইন যৌন অভিমুখিতা ছক বহুমাত্রিক। এই ছকে প্রতিটি মানুষের যৌন অভিমুখিতার নিয়ামক হিসেবে সাতটি উপাদান চিহ্নিত করা হয়েছে যথা
(ক) যৌন আকর্ষণ
(খ) যৌন আচরণ
(গ) যৌন কল্পনা
(ঘ)আবেগের প্রাধান্য
(ঙ)সামাজিক প্রাধান্য,
(চ)জীবনশৈলী প্রাধান্য এবং
(ছ)আত্ম পরিচিতি।
উক্ত (ক) থেকে (ঙ) পর্যন্ত পাঁচটি উপাদানের জন্য সাত প্রকার চারিত্র্য চিহ্নিত করা হয়েছে। যথা
(১) কেবল বিপরীত লিঙ্গের মানুষ
(২) অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিপরীত লিঙ্গের মানুষ
(৩) তুলনামূলকভাবে বেশি বিপরীত লিঙ্গের মানুষ
(৪) সমলিঙ্গ ও বিপরীত লিঙ্গ উভয় শ্রেণীর মানুষ
(৫)তুলনামূলকভাবে বেশি সমলিঙ্গের মানুষ
(৬) অধিকাংশ ক্ষেত্রে সমলিঙ্গের মানুষ এবং
(৭)কেবল সমলিঙ্গের মানুষ।
(চ) এবং (ছ) এই দুটি নিয়ামকের ক্ষেত্রে অন্য সাতটি চারিত্র্য ব্যবহার করা হয়েছে। যথা
(১) কেবল বিষমকামী মানুষ
(২) অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিষমকামী মানুষ
(৩) তুলনামূলকভাবে বেশি বিষমকামী মানুষ
(৪) বিষমকামী ও সমকামী উভয় রূপ মানুষ
(৫) তুলনামূলকভাবে বেশি সমকামী মানুষ
(৬) অধিকাংশ ক্ষেত্রে সমকামী মানুষ এবং
(৭) কেবল সমকামী মানুষ।
ক্লেইন যৌন অভিমুখিতা ছকের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো এতে সময়ের সাথে মানুষের যৌন অভিমুখিতা পরিবর্তনের সম্ভাব্যতা বিবেচনা করা হয়েছে। এতে সাতটি উপাদানের প্রতিটির জন্য অতীত ও বর্তমান প্রবণতা চিহ্নিত করার সুযোগ রয়েছে। অধিকন্তু যৌনসঙ্গী নির্বাচনের ব্যাপারে ব্যক্তির অভীষ্ট ব্যক্তির বিষয়ও নিয়ামক হিসেবে বিবেচনায় গ্রহণ করা হয়েছে।
‘ক্লেইন যৌন অভিমুখিতা ছক’ ব্যবহার করে একজন মানুষ স্বীয় যৌন অভিমুখ সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভে সমর্থ হবে।[6]