ক্ষুদ্র তুষারযুগ
From Wikipedia, the free encyclopedia
ক্ষুদ্র তুষারযুগ (Little Ice Age, LIA) হচ্ছে মধ্যযুগীয় উষ্ণ পর্বের পরে আসা শীতলতার একটি সময়।[1] যদিও এটি সত্যিকারের তুষারযুগ ছিল না, ১৯৩৯ সালে ফ্রাঙ্কোইস ই. ম্যাথেস বৈজ্ঞানিক সাহিত্যে এই শব্দটির সূচনা করেছিলেন।[2] প্রচলিতভাবে ১৬ থেকে ১৯ শতক[3][4][5] পর্যন্ত সময়কে এই ক্ষুদ্র তুষারযুগের আওতায় বিবেচনা করা হয়।[3][4][5] তবে কিছু বিশেষজ্ঞ প্রায় ১৩০০[6] সাল থেকে প্রায় ১৮৫০ সাল পর্যন্ত বিকল্প সময়কালকে ক্ষুদ্র তুষারযুগের সময়কাল হিসেবে ধরতে পছন্দ করেন।[7][8][9] স্থানীয় রেকর্ডগুলির সাথে কার্যরত জলবায়ুবিদ এবং ঐতিহাসিকগণ ক্ষুদ্র তুষারযুগের শুরু ও শেষ নিয়ে কখনও ঐকমত্যে আসতে পারবেন বলে আর আশা রাখেন না, কেননা এই সময়কাল স্থানীয় অবস্থাভেদে পরিবর্তিত হয়।
নাসা ভূ-মানমন্দির তিনটি বিশেষত শীতল পর্যায়কে সূচিত করে: একটির সূচনা প্রায় ১৬৫০ সালে, অন্যটির ১৭৭০ সালে এবং শেষটির ১৮৫০ সালে, এই তিনটি পর্যায়ই এই শীতল সময়ের মধ্যবর্তী সামান্য উষ্ণতার কাল দ্বারা পৃথকীকৃত, অর্থাৎ এই তিন শীতল সময়ের মধ্যবর্তী সময়ে সামান্য উষ্ণ সময় রয়েছে।[5] ইন্টারগভার্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (IPCC) ক্ষুদ্র তুষারযুগ দ্বারা প্রভাবিত সময়কাল ও স্থান নিয়ে কাজ করে তার থার্ড অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্টে হিমবাহের বিশ্বব্যাপী-সমান্তরাল বৃদ্ধির পরিবর্তে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বাধীনভাবে আঞ্চলিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রস্তাব দেয়। এই সময়ে উত্তর গোলার্ধে বড়জোড় মাঝারি শীতলতা ছিল।[10]
এই ঘটনার জন্য বেশ কয়েকটি কারণ প্রস্তাব করা হয়েছে: চক্রাকারে সৌর বিকিরণ কমে যাওয়া, উচ্চমাত্রায় অগ্ন্যুৎপাৎ, মহাসাগরের সঞ্চালনের পরিবর্তন, পৃথিবীর কক্ষপথের পরিবর্তন এবং অক্ষীয় ঢাল (অরবিটাল ফোর্সিং), বৈশ্বিক জলবায়ুতে অন্তর্নিহিত পরিবর্তন, এবং মানুষের জনসংখ্যা হ্রাস।