গুগল
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বহুজাতিক ইন্টারনেট ও সফটওয়্যার কোম্পানী / From Wikipedia, the free encyclopedia
গুগল এলএলসি[4] (ইংরেজি: Google LLC) বা গুগল লিমিটেড লায়াবেলিটি কোম্পানি ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা ও পণ্যে বিশেষায়িত একটি আমেরিকান বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ছাত্র থাকাকালীন ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিন ১৯৯৮ সালের ৪ই সেপ্টেম্বর গুগল নির্মান করেন। গুগলের ১৪ শতাংশ শেয়ার তাদের এবং বিশেষ সুপারভোটিং ক্ষমতার মাধ্যমে ৫৬ শতাংশ স্টকহোল্ডারকে নিয়ন্ত্রণ করে। ৪ ই সেপ্টেম্বর, ১৯৯৮ সালে তারা গুগলকে প্রাইভেট কোম্পানি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন। গুগল আগস্ট ১৯, ২০০৪ সালে ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং (আইপিও) দেয় ও গুগলপ্লেক্স নামে মাউন্টেইন ভিউতে তাদের নতুন সদরদপ্তরে স্থানান্তরিত হয়। আগস্ট ২০১৫ সালে গুগল এর বিভিন্ন কার্যক্রম আলফাবেট ইনকর্পোরেটেড নামে সমন্বিত করার পরিকল্পনার কথা জানায়। আলফাবেটের প্রধান অধীনস্থ সংগঠন হিসেবে আলফাবেটের ইন্টারনেট কার্যক্রম পরিচালনা করবে। পুনর্গঠনের সমাপনী অংশ হিসেবে ল্যারি পেজ সুন্দর পিচাইকে গুগলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে প্রতিস্থাপন করেন। (ল্যারি পেজ এখন আলফাবেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা)
প্রাক্তন নাম | গুগল ইনকর্পোরেটেড (১৯৯৮—২০১৭) |
---|---|
ধরন | অধীনস্থ |
শিল্প | |
প্রতিষ্ঠাকাল | ৪ সেপ্টেম্বর ১৯৯৮ (২৫ বছর আগে) (1998-09-04) মেনলো পার্ক, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।[1][2] |
প্রতিষ্ঠাতাগণ | |
সদরদপ্তর | ১৬০০ এম্পিথিয়েটার পার্কওয়ে, , |
বাণিজ্য অঞ্চল | বিশ্বব্যাপী |
প্রধান ব্যক্তি |
|
কর্মীসংখ্যা | ১,১৪,০৯৬ (২০১৯[হালনাগাদ]) |
মাতৃ-প্রতিষ্ঠান | আলফাবেট ইনকর্পোরেটেড (২০১৫—বর্তমান) |
ওয়েবসাইট | google.com |
গুগলের প্রধান সেবা গুগল সার্চ ছাড়াও নতুন পণ্য, অধিগ্রহণ ও অংশীদারত্বের সাথে সাথে কোম্পানিটির দ্রুত প্রসার হয়। কাজ ও প্রোডাক্টিভিটি সেবা (গুগল ডক, শিট ও স্লাইড), ইমেইল (জিমেইল/ইনবক্স), সময়সূচী ও সময় ব্যবস্থাপক (গুগল ক্যালেন্ডার), ক্লাউড স্টোরেজ (গুগল ড্রাইভ), সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (গুগল+), ইন্সট্যান্ট ম্যাসেজিং ও ভিডিও চ্যাট (গুগল এলো/ডুও/হ্যাংআউট), অনুবাদক (গুগল ট্রান্সলেট), মানচিত্র (গুগল ম্যাপস/ওয়েজ/আর্থ/স্ট্রিট ভিউ), ভিডিও ভাগাভাগি (ইউটিউব), নোট নেওয়া (গুগল কিপ), এবং ছবি ব্যবস্থাপক (গুগল ফটোজ) প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।
গুগল সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন ডেটা সেন্টারে প্রায় এক মিলিয়ন সার্ভার চালায়[5] ও ৫.৪ বিলিয়নের বা ৫০০কোটির উপর অনুসন্ধানের অনুরোধ[6] এবং প্রায় ২৪ পেটাবাইট ব্যবহারকারী কর্তৃক তৈরী ডেটা প্রক্রিয়াকরণ করে প্রতিদিন[7][8][9][10]। ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর অনুযায়ী এলেক্সা আমেরিকার সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা ওয়েবসাইটের তালিকায় স্থান দেয় গুগলকে। এছাড়াও গুগলের অন্যান্য আন্তর্জাতিক সাইট যেমন ইউটিউব, ব্লগার এবং অরকুট[11] সেরা একশটি সাইটে স্থান পায়। ব্রান্ড্য তাদের ব্রান্ড ইকুইটি ডাটাবেজে গুগলকে ২য় স্থান দেয়[12]। গুগলের আধিপত্য বিভিন্ন সমালোচনার জন্ম দিয়েছে যেমন কপিরাইট, গোপনীয়তা এবং সেন্সরশিপ প্রভৃতি[13][14]। গুগল সম্পর্কে যে ১০টি তথ্য হয়তো আপনার জানা নেই[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]