গুরু অমর দাশ
From Wikipedia, the free encyclopedia
গুরু অমর দাশ (গুরুমুখী: ਗੁਰੂ ਅਮਰ ਦਾਸ, প্রতিবর্ণীকরণ: [gʊɾuː əməɾᵊ d̯aːsᵊ]; ৫ মে ১৪৭৯ – ১ সেপ্টেম্বর ১৫৭৪), কখনও কখনও গুরু অমরদাশ নামেও বানান করা হয়, হলেন শিখধর্মের দশ গুরুর তৃতীয় গুরু যিনি ১৫৫২ সালের ২৬ মার্চ ৭৩ বছর বয়সে শিখ গুরু হন।[2][3]
গুরু অমর দাশ | |
---|---|
ਗੁਰੂ ਅਮਰ ਦਾਸ | |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | অমর দাশ ৫ মে ১৪৭৯ |
মৃত্যু | ১ সেপ্টেম্বর ১৫৭৪(1574-09-01) (বয়স ৯৫) |
ধর্ম | শিখধর্ম |
দাম্পত্য সঙ্গী | মনসা দেবী |
সন্তান | ভাই মোহন (১৫০৭ - ১৫৬৭) ভাই মোহির (১৫১৪ - ১৫৬৯) বিবি দানি (১৫২৬ - ১৫৬৯) বিবি ভানি (১৫৩২ - ১৫৯৮) |
পিতামাতা | তেজ বান ও মাতা লক্ষ্মী দেবী |
যে জন্য পরিচিত |
|
অন্য নাম | তৃতীয় শিক্ষক তৃতীয় নানক |
ধর্মীয় জীবন | |
ভিত্তিক | গোইন্দওয়াল |
কাজের মেয়াদ | ১৫৫২-১৫৭৪ |
পূর্বসূরী | গুরু অঙ্গদ |
উত্তরসূরী | গুরু রামদাশ |
শিখ (সংস্কৃতি : শিষ্য) হওয়ার পূর্বে তিনি তার ভাতিজার স্ত্রী বিবি আমরোর মুখে গুরু নানক রচিত একটি স্তোত্র পাঠ শুনে গভীরভাবে এতে প্রবেশ করেন।[4] আমরো ছিলেন শিখদের তৎকালীন গুরু এবং শিখদের দ্বিতীয় গুরু গুরু অঙ্গদের কন্যা। অমর দাশ আমরোকে তার পিতার সাথে[5] তার পরিচয় করিয়ে দিতে পীড়াপীড়ি করেন এবং ১৫৩৯ সালে অমর দাশ তার ষাট বছর বয়সে ১৫৩৯ সালে গুরু অঙ্গদের সাাথে প্রথমবারের মতো সাক্ষাৎ করে নিজেকে গুরুর নিকট সমর্পণ করার মাধ্যমে একজন শিখ হয়ে ওঠেন।[6] ১৫৫২ সালে গুরু অঙ্গদের মৃত্যুর পূর্বে তিনি তাকে শিখধর্মের তৃতীয় গুরু হিসাবে উত্তরাধিকারী মনোনীত করে যান।[7]
গুরু অমর দাশ গুরুদের শিক্ষাদানের পদ্ধতি আবিষ্কার করার ক্ষেত্রে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ত্ব যিনি প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী মনোনয়নের মাধ্যমে মঞ্জি ব্যবস্থার প্রবর্তন করেন যেটি কালক্রমে প্রসারিত হয়ে সমকালীন সমাজেও প্রচলিত রয়েছে।[5][4] তিনি একটি পুথিঁতে স্তোত্র রচনা এবং পরিমার্জন করে আদি গ্রন্থ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখেন।[8][9]
অমর দাশ শিখদের গুরু হিসেবে তার ৯৫ বছর বয়স পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন এবং এরপর তার জামাতা ভাই জেতাকে, পরবর্তীকালে যিনি গুরু রাম দাশ নামে পরিচিত লাভ করেন, তার উত্তরাধিকারী হিসাবে মনোনয়ন দেন।[4][10]