গুরু গ্রন্থ সাহিব
শিখধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ / From Wikipedia, the free encyclopedia
গুরু গ্রন্থ সাহিব বা সাম্মানিক উপাধি সহ শ্রী গুরু গ্রন্থ সাহিব জি (পাঞ্জাবি: ਸ਼੍ਰੀ ਗੁਰੂ ਗ੍ਰੰਥ ਸਾਹਿਬ ਜੀ, স্রি গুরু গ্রান্থ্ সাহিব্ জি ), বা আদি গ্রন্থ শিখধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এই গ্রন্থখানি শিখদের সর্বশেষ গুরু।[1] গুরু গ্রন্থ সাহিব ১৪৩০টি অঙ্গে বিভক্ত, যেগুলি ১৪৬৯ থেকে ১৭০৮ সালের মধ্যবর্তী সময়ে বিভিন্ন শিখ গুরু কর্তৃক রচিত ও সংকলিত হয়।[1] এটি একটি শবদ বা স্তোত্র সংকলন। এর মূল উপজীব্য ঈশ্বরের গুণকীর্তন[2] এবং ঈশ্বরের নাম জপ করার কারণ ব্যাখ্যা।
দশম শিখ গুরু গোবিন্দ সিংহ (১৬৬৬-১৭০৮) পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আদি গ্রন্থ-কে তার উত্তরসূরি ঘোষণা করেন এবং এটিকে গুরু গ্রন্থ সাহিব সম্মানে ভূষিত করেন।[3] সেই থেকে এই গ্রন্থই দশ গুরুর শিক্ষার প্রতিনিধিরূপে শিখদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থের মর্যাদা পেয়ে আসছে।[4] শিখধর্মের উপাসনার ক্ষেত্রে প্রার্থনার সহায়ক বা সূত্র হিসেবে এই গ্রন্থের স্থান সর্বাগ্রগণ্য।[5]
পঞ্চম শিখ গুরু অর্জুন দাস (১৫৬৩-১৬০৬) প্রথম পাঁচ শিখ গুরু এবং হিন্দু ও মুসলমান সন্ত সহ বিভিন্ন মহান সন্তের রচিত স্তোত্রাবলি থেকে রচনা চয়ন করে প্রথম আদি গ্রন্থ সংকলন করেন।[2] দশম শিখ গুরুর প্রয়াণের পর বাবা দীপ সিংহ বিতরণের জন্য এই গ্রন্থের একাধিক সম্পাদিত নকল প্রস্তুত করেছিলেন।
গ্রন্থটি গুরুমুখী হরফে লিখিত। প্রধানত প্রাচীন পাঞ্জাবি ভাষা ব্যবহৃত হলেও কোনো কোনো স্থলে ব্রজ, পাঞ্জাবি, খড়িবোলি (হিন্দি), সংস্কৃত, বিভিন্ন স্থানীয় উপভাষা ও ফার্সি ব্যবহৃত হয়েছে। এই গ্রন্থের ভাষাকে বলা হয় সন্ত ভাষা।[6]