ঘূর্ণিঝড় ফণী
অত্যন্ত শক্তিশালী প্রাকৃতিক দূর্যোগ / From Wikipedia, the free encyclopedia
অত্যন্ত তীব্র ঘূর্ণিঝড় ফণী ভারতের ওডিশা রাজ্যে আঘাত হানা একটি শক্তিশালী গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়। ঘূর্ণিঝড় 'ফণীর' নাম দিয়েছে বাংলাদেশ, এর অর্থ সাপ (ফণা আছে যার)।[1] এটি ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে উত্তর ভারত মহাসাগরের মৌসুমের দ্বিতীয় নামাঙ্কিত ঝড় এবং প্রথম অত্যন্ত তীব্র ঘূর্ণিঝড়। ফণী ২৬ এপ্রিল ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় মহাসাগরে সুমাত্রার পশ্চিমে গঠিত একটি ক্রান্তীয় নিম্নচাপ থেকে সৃষ্টি হয়। এর আগে যৌথ টাইফুন সতর্কতা কেন্দ্র (জেটিডাব্লিউসি) উত্তর ভারত মহাসাগরে গঠিত একটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় নিম্নচাপ পর্যবেক্ষণ করছিল, এবং একে ০১বি শনাক্তকারী দিয়ে চিহ্নিত করে। ফণী ধীরে ধীরে পশ্চিমাভিমুখে সরে যায় এবং আরো শক্তিশালী হতে থাকে। নামকরণের দুই দিন পর, মৌসুমের দ্বিতীয় নামাঙ্কিত ঘূর্ণিঝড় ফণী তীব্রতর হয়ে ওঠে। ফণী উত্তর দিকে অগ্রসর হতে থাকে, এই সময়ে মাঝারি উল্লম্ব বায়ুর বিভক্তি একে তীব্রতর হতে বাধা দিচ্ছিল। বায়ু বিভক্তি থেকে দূরে সরে যাওয়ার পর, ফণী দ্রুত তীব্রতর হতে শুরু করে এবং ৩০ এপ্রিল, ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে একটি অত্যন্ত তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেয়, যা মৌসুমের প্রথম তীব্র ঘূর্ণিঝড়। ফণী প্রবলমাত্রার ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ২ মে এর তীব্রতার শিখরে পৌঁছায়, যা পঞ্চম শ্রেনীর হ্যারিকেনের সমতুল্য। উপকূলে আঘাত হানার আগে পর্যন্ত ফণী এর তীব্রতা বজায় রেখে চলে, উপকূলে আঘাত হানার পর ফণীর তীব্রতা দ্রুত হ্রাস পেতে থাকে। পরদিন, ফণী দুর্বল হয়ে ক্রান্তীয় ঝড় হিসেবে কলকাতা ও পরে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যায়।
অত্যন্ত তীব্র ঘূর্ণিঝড় (আইএমডি স্কেল) | |
---|---|
শ্রেণী ৫ (স্যাফির-সিম্পসন মাপনী) | |
গঠন | ২৬ এপ্রিল ২০১৯ |
বিলুপ্তি | ৫ মে ২০১৯ |
(৪ মে পরে অবশিষ্টাংশ কম) | |
সর্বোচ্চ গতি | ৩-মিনিট স্থিতি: ২১৫ কিমি/ঘণ্টা (১৩০ mph) ১-মিনিট স্থিতি: ২৮০ কিমি/ঘণ্টা (১৭৫ mph) |
সর্বনিম্ন চাপ | ৯৩২ hPa (mbar); ২৭.৫২ inHg (932) |
হতাহত | মোট ৮৯ |
ক্ষয়ক্ষতি | $1.81 বিলিয়ন (২০১৯ $) |
প্রভাবিত অঞ্চল | নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, শ্রীলঙ্কা, পূর্ব ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান |
২০১৯ ভারত মহাসাগরের উত্তরভাগে ঘূর্ণিঝড় মরসুমের অংশ | |
ঘূর্ণিঝড় ফণী উপকূলে আঘাত হানার পূর্বে, ভারত ও বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ ঘূর্ণিঝড়ের অভিক্ষিপ্ত গতিপথ থেকে উচ্চতর স্থল এবং ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলিতে লক্ষাধিক মানুষকে সরিয়ে নেন। ১২ মে,২০১৯ তারিখ অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে পূর্ব ভারত ও বাংলাদেশে মোট ৮৯ জনের মৃত্যু হয়। ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে প্রায় ১,৫২,৮৩,২৭,৮০,০০০ টাকার ক্ষতি হয়, যায় বেশিরভাগই হয় ওড়িশায়।[2][3][4]