জাপানী রন্ধনশৈলী
উত্তর-পূর্ব এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র জাপানের ঐতিহ্যবাহী রান্না / From Wikipedia, the free encyclopedia
জাপানী রন্ধনশৈলী জাপানের বিভিন্ন আঞ্চলিক ও ঐতিহ্যগত খাবারের রান্নার প্রণালী নিয়ে গড়ে উঠেছে। যা শত বছরের সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের মাধ্যমে উন্নত হয়েছে। জাপানের ঐতিহ্যবাহী রন্ধনপ্রণালী 和食 বা ওয়াশোকু চালের উপর ভিত্তি করে তৈরী হয়। এখানে মৌসুমী উপাদানগুলোর বেশ প্রভাব আছে। খাবারে সহযোগী পদে প্রায়ই মাছ, শাকসব্জীর আচার এবং ঝোলওয়ালা শাকসব্জির তরকারি থাকে। তেমপুরার মত পাতলা গোলায় মাখিয়ে সামুদ্রিক খাবার এবং শাকসব্জি প্রায়ই কড়া ভাজা করা হয়। সামুদ্রিক খাবার প্রায়ই ভাজা হয় আবার অনেক ক্ষেত্রে সাশিমি হিসেবে কাঁচা বা সুশীতে পরিবেশিত হয়। ভাত ছাড়াও নুডলস যেমন সোবা ও উডন ইত্যাদি প্রধান খাবার হিসেবে পরিবেশিত হয়। জাপানে অনেক মজাদার খাবার রয়েছে যেমন মাছের ঝোল ওডেন এবং সুকিয়াকি ও নিকুঞ্জাগায় গোমাংস। বৈদেশিক খাদ্য দ্বারা অনুপ্রাণিত খাবার - বিশেষ করে চীনা খাবার যেমন র্যামেন, ফ্রাইং ডাম্পলিংস এবং গয়জা জাপানে গৃহীত হয়েছে। তবে জাপানী স্বাদ ও উপাদান ব্যবহৃত হয়ে এগুলোতেও আলাদা বৈচিত্র এসেছে। ঐতিহাসিকভাবে জাপানীরা কম মাংস গ্রহণ করতো। কিন্তু আধুনিকীকরণের ফলে ১৮৮০ সালের দিকে জাপানে টোংকাটসুর মত মাংসের পদ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। জাপানী রন্ধনশৈলী বিশেষ করে সুশী সারা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ২০১১ সালে জাপান ফ্রান্সকে অতিক্রম করে মিচেলিয়ান-তারকাচিত রেস্তোরাঁ অর্জন করে এবং শিরোনামটি এখনো ধরে রেখেছে।
বিশ্বকোষীয় পর্যায়ে যেতে এই নিবন্ধে আরো বেশি অন্য নিবন্ধের সাথে সংযোগ করা প্রয়োজন। (মে ২০২১) |