ঝাড়খণ্ডের ইতিহাস
ইতিহাসের বিভিন্ন দিক / From Wikipedia, the free encyclopedia
মানুষ ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্য দ্বারা অধিকৃত অঞ্চলে প্রস্তর যুগের পর থেকেই বাস করছে।[1] চালকোলিথিক সময়কালের তামার সরঞ্জামগুলি আবিষ্কার করা হয়েছে ।[2] এই অঞ্চলটি খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দের সময়ে লৌহ যুগে প্রবেশ করেছিল।[3] গৌতম কুমার বেরা সহ বিভিন্ন লেখকের মতে,[4] মগধ সাম্রাজ্যের আগেও ঝাড়খণ্ড নামে একটি পৃথক ভূ-রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সত্তা ছিল। বেরার বইতে (পৃষ্ঠা ৩৩) হিন্দু মহাকাব্য ভবিষ্যপুরাণও নির্দেশ করা হয়েছে।
এই অঞ্চলটি মৌর্য সাম্রাজ্য এর নিয়ন্ত্রণে আসে এবং অনেক পরে (অষ্টাদশ শতকে) মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর এবং আওরঙ্গজেব'র নিয়ন্ত্রণে আসে। মুঘল সম্রাটদের পতনের সাথে সাথে এই অঞ্চলটি চেরো জাতি এবং অন্যদের থেকে স্থানীয় শাসকদের অধীনে আসে। উনবিংশ শতাব্দীর শেষদিকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কর্তৃক পরাধীন হওয়ার আগে ব্রিটিশ রাজ এর দ্বারা পরাধীন হয়েছিল। উভয় প্রশাসনই অনেক স্থানীয় প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়েছিল। ঐসময় এই অঞ্চলটি নয়টি রাজ্য এর সমষ্টি ছিল। ব্রিটিশ রাজের অধীনে ১৯০৫ সাল অবধি এই অঞ্চলটি বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি এর মধ্যে পড়েছিল, এর বেশিরভাগ অংশই কেন্দ্রীয় প্রদেশ এবং উড়িষ্যা উপ রাজ্যতে স্থানান্তরিত হয়েছিল; তারপরে ১৯৩৬ সালে পুরো অঞ্চলটি পূর্ব রাজ্য এজেন্সি'র অধীনে আসে।
১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পরে অঞ্চলটি মধ্য প্রদেশ, ওড়িশা এবং বিহার রাজ্যের মধ্যে বিভক্ত হয়েছিল। ২০০০ সালে বিজেপির নেতৃত্বে একটি পৃথক রাজ্যের জন্য প্রচারণা-বিহার পুনর্গঠন আইন পাস হওয়ার সাথে সাথে ঝাড়খণ্ডকে ভারতের নতুন রাজ্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।