দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার
From Wikipedia, the free encyclopedia
দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার ভারতের সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র পুরস্কার। ভারত সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় দ্বারা প্রতিষ্ঠিত চলচ্চিত্র উৎসব অধিদপ্তর নামক সংস্থা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সমারোহে এই পুরস্কার প্রদান করে। ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রগতি ও উন্নতির জীবনব্যাপী অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এই পুরস্কার দেওয়া হয়।[1] ভারতীয় চলচ্চিত্র জগৎ থেকে বেশ কয়েকজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব দ্বারা গঠিত একটি কমিটি পুরস্কার প্রাপকের নাম নির্বাচন করে।[2] পুরস্কার হিসেবে একটি স্বর্ণকমল পদক, নগদ ₹ ১০,০০,০০০ (US$ ১২,২২৩.৩) ও একটি শাল প্রদান করা হয়।[3]
দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার | |
---|---|
বিবরণ | লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার |
দেশ | ভারত |
পুরস্কারদাতা | কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদ |
প্রথম পুরস্কৃত | ১৯৬৯ |
ওয়েবসাইট | http://dff.nic.in/NFA.aspx |
ভারতীয় চলচ্চিত্রে দাদাসাহেব ফালকের অবদানের স্বীকৃতিতে ভারত সরকার ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম এই পুরস্কার প্রচলন করে।[4] ভারতীয় চলচ্চিত্রের জনক বলে পরিচিত ফালকে একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ছিলেন, যিনি ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে রাজা হরিশচন্দ্র নামক ভারতের প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।[1]
১৭তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সমারোহে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী দেবিকা রাণীকে প্রথম দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এই পুরস্কারের ইতিহাসে অভিনেতা পৃথ্বীরাজ কপূর একমাত্র মরণোত্তর পুরস্কার প্রাপক ছিলেন।[5] তার পুত্র রাজ কপূর ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে ১৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সমারোহে পিতার হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করেন ও ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দে ৩৫তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সমারোহে নিজেও এই পুরস্কার লাভ করেন।[6][7][lower-alpha 1] বোম্মিরেড্ডি নরসিংহ রেড্ডি (১৯৭৪) ও বোম্মিরেড্ডি নাগি রেড্ডি (১৯৮৬);[10] রাজ কপূর (১৯৮৭) ও শশী কপূর (২০১৪);[11] এবং বলদেব রাজ চোপড়া (১৯৯৮) ও যশ চোপড়া (২০০১) এই তিন জোড়া ভাই ও লতা মঙ্গেশকর (১৯৮৯) ও আশা ভোঁসলে (২০০০) এই দুই বোন এই পুরস্কার লাভ করেন।[12][13]:৭২সাম্প্রতি এই পুরস্কারটি পাচ্ছেন অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন,৬৬ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে তিনি এই পুরস্কারে সম্মানিত হবেন।