নারী অধিকার
পৃথিবীতে নারী এবং মেয়েদের অধিকার নেওয়া / From Wikipedia, the free encyclopedia
নারী অধিকার পরিভাষাটি বলতে বোঝায় এক ধরনের স্বাধীনতা, যা সকল বয়সের মেয়ে ও নারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়। এই অধিকার হতে পারে প্রাতিষ্ঠানিক, আইনানুগ, আঞ্চলিক সংস্কৃতি দ্বারা সিদ্ধ, বা কোনো সমাজের আচরণের বহিঃপ্রকাশ। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই অধিকারকে অস্বীকার করতেও দেখা যায়। সীমান্ত পেরিয়ে বিভিন্ন দেশে এই অধিকারের বিভিন্ন রকম সংজ্ঞা ও পার্থক্য দেখা যায়, কারণ এটি পুরুষ ও ছেলেদের অধিকারের থেকে ভিন্ন। এবং এই অধিকারের স্বপক্ষে আন্দোলনকারীদের দাবী যে, নারী ও মেয়েদের অধিকারের প্রচলনের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক দুর্বলতা রয়েছে।
না[1] হিন্দু নারীদের জন্য পিতামাতার সম্পত্তিতে অধিকার প্রতিষ্ঠা একটা আবশ্যক বিষয়। পুরুষ বা নারী যাই হোক সব সন্তান তার পিতামাতার সম্পত্তির সমান উত্তরাধিকার হওয়ার দাবী রাখে। হিন্দু নারীদের এই অধিকার না থাকায় তারা পরিবার, সমাজ ও নিজের জীবনে নানারকম সমস্যা ও অবহেলার শিকার হয়। কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক সমাজ এটাকে কার্যকর হতে বাঁধা দেয় / দিচ্ছে। এটা না করে অনেকে যৌতুক দেওয়াকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। কিন্তু এটার কুফল খুবই মারাত্মক। যা এখন প্রায় নারীকে ভোগ করতে হচ্ছে। তাই হিন্দু নারীদের জন্য এটা কার্যকর করা এখন চরম আবশ্যক একটা ব্যাপার হয়ে উঠেছে। যেসব বিষয়ের ক্ষেত্রে নারী অধিকার প্রযোজ্য হয়, তা সুনির্দিষ্ট না হলেও এগুলো মূলত সমতা ও স্বয়ংসম্পূর্ণতা কেন্দ্রিক। যেমন: ভোটদানের অধিকার, অফিস-আদালতে একসাথে কাজ করার অধিকার, কাজের বিনিময়ে ন্যায্য ও সমান প্রতিদান (বেতন ও অন্যান্য সুবিধাদি) পাবার অধিকার, সম্পত্তি লাভের অধিকার, শিক্ষার্জনের অধিকার, সামরিক বাহিনীতে কাজ করার অধিকার, আইনগত চুক্তিতে অংশগ্রহণের অধিকার, এবং বিবাহ, অভিভাবক ও ধর্মীয় অধিকার।[2] নারী ও তাদের সহযোগীরা কিছু স্থানে পুরুষের সমান অধিকার আদায়ের স্বপক্ষে বিভিন্ন প্রকার ক্যাম্পেইন ও কর্মশালা চালিয়ে যাচ্ছে।[2]