নুবিয়া
উত্তর সুদান এবং দক্ষিণ মিশরের অঞ্চল / From Wikipedia, the free encyclopedia
নুবিয়া নীলনদের তীরবর্তী একটি অঞ্চল যা নীল নদের প্রথম জলপ্রপাত (দক্ষিণ মিশরের আসওয়ানের ঠিক দক্ষিণে) এবং নীলনদের নীল এবং সাদা অংশের মিলনস্থলের মাঝখানে রয়েছে (মধ্য সুদানের অবস্থিত খার্তুমের দক্ষিণে) বা আরো পরিষ্কার করে বললে আল দাব্বাহতে।[2][3] এখানে কেরমা সম্রাজ্য প্রায় ২৫০০ খ্রিস্টপূর্ব থেকে ফারাও প্রথম থুতমুস-এর অধীনে মিশরের নতুন রাজ্য দ্বারা বিজিত হওয়া অবধি প্রায় ১৫০০ খ্রিস্টপূর্ব পর্যন্ত বর্তমান ছিল, তাই এটি প্রাচীন আফ্রিকার দিককার সভ্যতার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু ছিল। নুবিয়া বেশ কয়েকটি সাম্রাজ্যের কেন্দ্র ছিল, সর্বাধিক উল্লেখযোগ্যভাবে কুশ রাজ্য, যা পিয়ের রাজত্বকালে, খ্রিস্টপূর্ব ৮ম শতাব্দীতে মিশর জয় করেছিল এবং এক শতাব্দী পরে মিশরীয় ষড়বিংশ রাজপরিবার দ্বারা প্রতিস্থাপিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত দেশকে তার পঁচিশতম রাজবংশ হিসাবে শাসন করেছিল ()।
খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতাব্দীতে ইথিওপিয়ার আকসুম রাজ্যের আক্রমণের ফলে কুশের পতন ঘটেছিল এবং নোবাতিয়া, মাকুরিয়া এবং আলোদিয়ার তিনটি খ্রিস্টান রাজত্বের উত্থান ঘটেছিল, শেষ দুটি আবার প্রায় এক সহস্রাব্দ স্থায়ী ছিল। তাদের পতনের ফলে কেবল ষোড়শ শতাব্দীতে নুবিয়ার উত্তরাঞ্চল উসমানীয় সেনাবাহিনী দ্বারা এবং দক্ষিণাঞ্চল সেন্নার সালতানাত দ্বারা বিজিত হয়ে নুবিয়ার বিভক্তকরণের সূচনাই করেনি, একিসাথে নুবীয়দের দ্রুত ইসলামীকরণ এবং আংশিক আরবিকরণেরও সুচনা করেছিলো। উনিশ শতকে নুবিয়া আবার মিশরের খেদিভাতদের দ্বারা ঐক্যবধ্য হয়েছিল। বর্তমানে নুবিয়া অঞ্চলটি মিশর এবং সুদানের মধ্যে বিভক্ত।
প্রাচীন নুবিয়ার সম্পর্কিত প্রত্নতাত্ত্বিক বিজ্ঞানকে নুবীয়বিদ্যা (ইংরেজি: Nubiology) বলা হয়।