প্রকৃতি বিরুদ্ধ?
From Wikipedia, the free encyclopedia
নরওয়ের অসলো ইউনিভার্সিটির প্রাকৃতিক ইতিহাসবিষয়ক জাদুঘরের উদ্দ্যোগে প্রকৃতি বিরুদ্ধ? (against nature?) শিরোনামে একটি প্রদর্শনী হয়। এই প্রদর্শনী 'প্রাণীজগতে সমকামিতা' এর উপর ভিত্তি করে হয়। এই ধরনের প্রদর্শনী ছিল সেবারই প্রথম।
সেই প্রদর্শনীতে এমন অনেক প্রাণী, প্রাণীর ছবি দেখানো হয়, বিভিন্ন প্রজাতির মডেল রাখা হয় (যাদের মধ্যে সমকামিতার প্রবণতা আছে), অন্যান্য জিনিসের মধ্যে 'সাউদার্ন রাইট হোয়েল' (এক প্রজাতির তিমি) এবং জিরাফ যাদের মধ্যে সমকামী জোড়ি হিসেবে থাকতে দেখতে পাওয়া যায় তাদেরও রাখা হয়। আয়োজকরা জানান, এই প্রদর্শনীর অনেকগুলো লক্ষ্যের মধ্যে একটি হল,সমকামিতা নিয়ে মানুষের মধ্যে যে বিভ্রান্তি আছে, তার অবসান ঘটানো..আমরা আশা করি, সমকামিতা নিয়ে বিখ্যাত যে বিতর্ক- ইহা প্রকৃতিবিরুদ্ধ, তাকে এখন থেকে আমরা খণ্ডন করতে পারব। কানাডীয় জীববিজ্ঞানী ব্রুস বাগেমিল এবং মার্কিন জীববিজ্ঞানী জোয়ান রাফগার্ডেন এর কাজের উপর ভিত্তি করেই এই প্রদর্শনীর বিরাট অংশ প্রদর্শিত হয়েছে।
'নরওয়েজিয়ান আর্কাইভ, লাইব্রেরী এ্যান্ড মিউজিয়াম অথোরিটি' (নরওয়েজীয় ভাষায় সংক্ষেপে এবিএম) এই প্রদর্শনীটির জন্য অর্থায়ন করে, এই প্রতিষ্ঠানটি মিউজিয়াম, লাইব্রেরি এবং ঐতিহাসিক তথ্য সংরক্ষণাগারগুলোকে উৎসাহিত করে, বিতর্কিত এবং নিষিদ্ধ বিষয় নিয়ে গবেষণা করার জন্য। এ প্রদর্শনীটি ছিল সেই চ্যালেঞ্জের প্রতি সরাসরি উত্তর।
প্রদর্শনী চলেছিল সেপ্টেম্বর ২০০৬ থেকে ২০০৭ সালের আগস্ট পর্যন্ত। এটা যে জনগণের মাঝে খুব ভালোভাবে পৌছেছে, তা প্রমাণ হয় প্রতিদিনই মানুষের ভীড় হওয়া, বিশেষ করে পরিবার সহ যাওয়ার মাধ্যমে।[1] অসলো, বারগেইন, ট্রন্ডহেইম, মাসট্রিক্ট (নেদারল্যান্ডস), জেনোভা (ইতালী) এবং স্টকহোম (সুইডেন) এ অনুষ্ঠান হিসেবে এটা দেখানো হয়। যাইহোক, খ্রিষ্টান ধার্মিক বিদ্বসমাজের দ্বারা এটা সমালোচিত হয়।[2]