প্রাচীন মিশরীয় শিল্পকলা
মিশরীয় শিল্পকলা / From Wikipedia, the free encyclopedia
প্রাচীন মিশরীয় শিল্পকলা বলতে খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ট সহস্রাব্দ থেকে খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতাব্দীর মধ্যে প্রাচীন মিশরে উৎপাদিত শিল্পকে বোঝায়, যা প্রাগৈতিহাসিক মিশর থেকে রোমান মিশরের খ্রিস্টীয়করণ পর্যন্ত বিস্তৃত। এতে চিত্রকর্ম, ভাস্কর্য, প্যাপিরাসের উপর অঙ্কন, ফ্যায়েন্স, গয়না, হাতির দাঁত, স্থাপত্য এবং অন্যান্য শিল্প মাধ্যম রয়েছে। এটি খুব রক্ষণশীলও: শিল্প শৈলী সময়ের সাথে খুব কম পরিবর্তিত হয়েছে। টিকে থাকা শিল্পের বেশিরভাগই সমাধি আর স্মৃতিস্তম্ভ থেকে এসেছে, যা প্রাচীন মিশরীয় পরকালতত্ত্ব সম্পর্কে আরও অন্তর্দৃষ্টি দেয়।
এই নিবন্ধটিকে উইকিপিডিয়ার জন্য মানসম্পন্ন অবস্থায় আনতে এর বিষয়বস্তু পুনর্বিন্যস্ত করা প্রয়োজন। (আগস্ট ২০১৫) |
এই নিবন্ধটি আরও সহজগম্য করতে, বিষয় অনুসারে অনুচ্ছেদে ভাগ করা উচিত। (আগস্ট ২০১৫) |
প্রাচীন মিশরীয় ভাষায় "শিল্প" এর জন্য কোন শব্দ ছিল না। শিল্পকর্মগুলি মূলত একটি কার্যকরী উদ্দেশ্য পূরণ যা ধর্ম এবং ভাবাদর্শের সাথে আবদ্ধ ছিল। শিল্পকলায় একটি বিষয় উপস্থাপন করার মানে এটিকে স্থায়িত্ব দেওয়া হয়। অতএব, প্রাচীন মিশরীয় শিল্প বিশ্বের একটি আদর্শিক, অবাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি চিত্রিত করেছে। স্বতন্ত্র শৈল্পিক অভিব্যক্তির কোন উল্লেখযোগ্য ঐতিহ্য ছিল না যেহেতু শিল্প শৃঙ্খলা বজায় রাখার একটি বৃহত্তর এবং মহাজাগতিক উদ্দেশ্য পরিবেশন করেছে ( মাআত )।
প্রাচীন মিশরীয় শিল্পকলায় ধর্মের প্রভাব ছিল প্রবল। ধর্মের সাথে নিবিড় সম্পর্কযুক্ত মিশরীয় শিল্পকলাকে ধর্মীয় শিল্পকলা বলেও অভিহিত করা হয়। বাস্তবতা ও আধ্যাত্মিকতার অনুপ্রেরণায় মিশরীয় শিল্পকলার বিকাশ ঘটেছিল। অন্যান্য সভ্যতার মতো মিশরীয় সভ্যতা শিল্পকলার প্রধান তিনটি দিক যথাঃ স্থাপত্য, ভাস্কর্য এবং চিত্রকলার বিকাশ ঘটে।
স্থাপত্য শিল্পঃ মিশরীয় স্থাপত্যশিল্প অনন্য ঐশ্বর্যের দাবিদার। স্থাপত্যশিল্পে মিশরীয়রা অসাধারণ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিল বলেই মিশরীয়দের বলা হয় ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ নির্মাতা। প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যের ফলে মিশরীয়দের স্মৃতিসৌধ,প্রাসাদ,মন্দির ও পিরামিড স্থাপত্যে তাদের অসামান্য কৃতিত্ব প্রকাশিত হয়। প্রাচীন মিশরীয়রা মৃত্যুর পরে জীবনে বিশ্বাস করতো এবং সেটাকেই আসল জীবন বলে মনে করতো। এর থেকেই মৃতদেহটিকে অবিকল অবস্থায় রক্ষা করার জন্য মৃতদেহকে মমি করা এবং সমাধির ব্যাপারটিও তাই ক্রমশ গুরুত্ব পেতে শুরু করে। সবচেয়ে প্রাচীন যে সমাধিগুলো এখনো চোখে পড়ে সেগুলো খুব সাধারণ ছিল। এমনকি ঐসময় ফারাওদের মৃতদেহও সাধারণভাবেই সমাহিত করা হতো। ঐসময় সাধারণত বালি-মাটিতে একটি চৌকো বা গোল গর্ত খুড়ে মৃতদেহের মমিকে মাদুরে জড়িয়ে শুইয়ে রাখা হতো এবং তারপর বালি-মাটি চাপা দিয়ে একধরনের সমাধি নির্মাণ করা হতো।