বরাক নদী
বাংলাদেশের নদী / From Wikipedia, the free encyclopedia
বরাক নদী (সিলেটি: বরাক গাং হচ্ছে ভারতের আসাম রাজ্যের মহিপুর ও কাছাড় জেলায় সুরমা নদীর উজান প্রবাহপথের নাম। এই নদীটি প্রায় ৫৬৪ কিলোমিটার (৩৫০ মা) লম্বা এবং ভারতের নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম এবং আসামের মধ্যে গিয়ে বাংলাদেশ হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে। বরাক নদী হচ্ছে দক্ষিণ আসমের একটি প্রধান নদী এবং সুরমা-মেঘনা নদী ব্যবস্থার অংশ। এই নদীর উৎপত্তি হয়েছে মণিপুর রাজ্যের পাহাড়ে।[1] বদরপুরের কাছে এটি সুরমা ও কুশিয়ারা নামে দুটি শাখায় বিভক্ত হয়ে বাংলাদেশের সিলেটের সমভূমিতে এসে দুটি শাখায় আবার মিলিত হয়ে মেঘনা নামে প্রবাহিত হয়েছে। এই মিলিত ধারা সাধারণভাবে বরাক নদী হলেও স্থানভেদে এটি কালনী, ভেড়ামোহনা, বলেশ্বর ও মেঘনা নামে পরিচিত।[2] এটিকে ভারতের অভ্যন্তরীণ নৌপথ হিসাবে ব্যবহার করার জন্য তৈরি করা হচ্ছে। এরব অববাহিকা প্রায় ৮,৮০,০০০ বর্গকিলোমিটার (৩,৪০,০০০ মা২) জায়গা জুড়ে রয়েছে। বারাকের অববাহিকা অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে উদ্ভিদ ও প্রাণীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
বরাক নদী (বরাক গাং) | |
বরবক্র কুয়াই[1] | |
দেশসমূহ | ভারত, বাংলাদেশ |
---|---|
রাজ্যসমূহ | মণিপুর, মিজোরাম, অসম |
উপনদী | |
- বাঁদিকে | সনি নদী (তুইরাল), ধলেশ্বরী নদী, কাটাখাল নদী, লঙ্গাই নদী |
- ডানদিকে | জিরি নদী, চিরি নদী, মধুরা নদী, জাতিঙ্গা নদী |
নগর | শিলচর |
উৎস | বরাইল রেঞ্জ [1] |
মোহনা | |
- স্থানাঙ্ক | ২৪°৫২′৩৪″ উত্তর ৯২°২৯′২১″ পূর্ব |
দৈর্ঘ্য | ৫৬৪ কিলোমিটার (৩৫০ মাইল) |