বেউলফ
প্রাচীন ইংরেজি মহাকাব্য / From Wikipedia, the free encyclopedia
বেউলফ (/ˈbeɪəwʊlf/;[1] প্রাচীন ইংরেজি: Bēowulf টেমপ্লেট:IPA-ang)) হল প্রাচীন ইংরেজি ভাষায় রচিত একটি মহাকাব্য। এটি ৩১৮২ চরণের একটি অনুপ্রাসযুক্ত দীর্ঘ কবিতা। সম্ভবত এটিই প্রাচীন ইংরেজিতে রচিত সবচেয়ে পুরনো কবিতা যেটি অদ্যাবধি টিকে আছে। এটিকে সাধারণভাবে প্রাচীন ইংরেজি সাহিত্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রচনা বলে অভিহিত করা হয়। ইংল্যান্ডে খ্রিস্টীয় ৮ম[2][3] থেকে ১১শ শতাব্দীর প্রথম ভাগের মধ্যবর্তী কোনো এক সময়ে এটি রচিত হয়।[4] এই মহাকাব্যের রচয়িতা কোনো এক অজ্ঞাতনামা অ্যাংলো-স্যাক্সন কবি। গবেষকরা এঁকে ‘বেউলফের কবি’ নামে চিহ্নিত করেন।[5]
বেউলফ | |
---|---|
Full title | অজ্ঞাত |
Author(s) | অজ্ঞাত |
ভাষা | প্রাচীন ইংরেজির পশ্চিম স্যাক্সন উপভাষা |
তারিখ | ৭০০-১০০০ খ্রিস্টাব্দ (কাব্যের তারিখ), ৯৭৫-১০২৫ (পাণ্ডুলিপির তারিখ) |
State of existence | ১৭৩১ সালে একটি অগ্নিকাণ্ডে পাণ্ডুলিপিটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় |
Manuscript(s) | কটন ভাইটেলিয়াস, এ. পনেরো |
First printed edition | থরকেলিন (১৮১৫) |
ধরন | মহাকাব্যিক বীরত্বব্যঞ্জক কাব্য |
Verse form | অনুপ্রাসযুক্ত কাব্য |
দৈর্ঘ্য | ৩১৮২ চরণ |
বিষয় | গেটিশ যোদ্ধা বেউলফের যৌবন ও বার্ধক্যের যুদ্ধ |
Personages | বেউলফ, হাইগেলাক, হ্রথগার, ওয়েলথথিও, হ্রথহাফ, Æschere, আনফার্থ, গ্রেন্ডেল, গ্রেন্ডেলের মা, উইগলাফ, হাইল্ডবার. |
মহাকাব্যের পটভূমি স্ক্যান্ডিনেভিয়া। গেটস জাতীয় যোদ্ধা বেউলফ ডেনসদের রাজা হ্রথগারের সাহায্যার্থে আসেন। হ্রথগারের হেওরট-স্থিত মিড হলে গ্রেন্ডেল নামে এক দৈত্য হানা দিচ্ছিল। বেউলফ তাকে হত্যা করেন। তারপর গ্রেন্ডেলের মা তাকে আক্রমণ করে। বেউলফ তাকেও পরাজিত করেন। জয় লাভ করে বেউলফ গেটল্যান্ডে (অধুনা সুইডেনের গোটল্যান্ড) নিজের বাড়িতে ফিরে যান। পরে তিনি গেটস জাতির রাজা হন। পঞ্চাশ বছর পর বেউলফ এক ড্রাগনকে পরাজিত করেন। কিন্তু এই যুদ্ধে তিনি গুরুতর আহত হয়ে মারা যান। তার মৃত্যুর পর তার অনুচরেরা তাকে গেটল্যান্ডে একটি সমাধিস্তুতে সমাধি দেন।
সম্পূর্ণ কবিতাটি ব্রিটিশ লাইব্রেরিতে রক্ষিত নোওয়েল কোডেক্স নামে একটি পাণ্ডুলিপিতে পাওয়া যায়। মূল পাণ্ডুলিপিতে কবিতাটির কোনো শিরোনাম ছিল না। তবে এটি কাব্যের প্রধান চরিত্রের নামা নামাঙ্কিত হয়।[6] ১৭৩১ সালে লন্ডনের অ্যাশবার্নহাম হাউস থেকে আগত একটি আগুনে পাণ্ডুলিপিটি বিশ্রীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উক্ত বাড়িটিতে স্যার রবার্ট ব্রুস কটনের সংগৃহীত একাধিক মধ্যযুগীয় পাণ্ডুলিপি ছিল। ১৮শ শতাব্দীর শেষ ভাগের আগে কবিতাটি পঠিত হয়নি। ১৮১৫ সালের আগে এটি সম্পূর্ণ প্রকাশিতও হয়নি। ওই বছর জোহান বুলো একটি লাতিন অনুবাদ খুঁযে পান। আইসল্যান্ডীয়-ড্যানিশ গবেষক গ্রিমার জনসন থরকেলিন ওই অনুবাদটি করেছিলেন।[7] থরকেলিনের সঙ্গে প্রবল বিতর্কের পর বুলো ড্যানিশ ভাষায় একটি নতুন অনুবাদে সাহায্য করতে রাজি হন। অনুবাদটি করেন এন. এফ. এস. গ্রুনডটভিগ। Bjovulfs Drape শিরোনামে ১৮২০ সালে প্রকাশিত এই অনুবাদটি হল মহাকাব্যের প্রথম আধুনিক ভাষায় অনুবাদ।