বেগুনী
রঙ / From Wikipedia, the free encyclopedia
বেগুনী (বাংলা উচ্চারণ: [বেগুনী] (শুনুনⓘ)) হল নীলা, ল্যাভেন্ডার আর বিউটিবেরিসের বর্ণ। এর নাম করা হয়েছে বেগুনী ফুলের নাম অনুযায়ী।[2][3] বেগুনী দৃশ্যমান বর্ণালীর সর্বশেষ বর্ণ যা নীল এবং অদৃশ্য অতিবেগুনীর মাঝামাঝি অবস্থান করে।এর প্রাধান্যপূর্ণ তরঙ্গদৈর্ঘ্য হল ৩৮০-৪৫০ ন্যানোমিটার[4] (কিছু নির্দিষ্ট অবস্থায় রক্তবর্নেরও ৩১০ ন্যানোমিটার তরঙ্গদৈর্ঘ্য দেখা যায়)।[5][6][7] যে আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেগুনী অপেক্ষা ছোট কিন্তু রঞ্জনরশ্মি এবং গামারশ্মি অপেক্ষা বড় তাকে অতিবেগুনী বলে।ইতিহাসে চিত্রকরেরা যে বর্ণচাকতি ব্যবহার করত,বেগুনী তাতে নীল এবং রক্তবর্ণের মাঝামাঝি ছিল।কম্পিউটারের মনিটর এবং টেলিভিশন সেটে যা বেগুনীর মত দেখতে,তা আরজিবি বর্ণ মডেল দ্বারা নির্মিত, যা লাল এবং নীলের সমন্বয়ে তৈরি হয়। এখানে নীল লালের দ্বিগুণ উজ্জ্বল থাকে। কিন্তু এটি সত্যিকার বেগুনী হয়না, এটি কেবল নীলের চেয়ে ছোট একটি তরঙ্গদৈর্ঘ্য এর বদলে কয়েকটি উচ্চ তরঙ্গদৈর্ঘ্য এর যোগফল হয়।
| ||||||||||||||||||||||||||
|
বেগুনী এবং রক্তবর্ণ প্রায় একই দেখা যায়, কিন্তু বেগুনী সত্যিকার অর্থে একটি রঙ, যার দৃশ্যমান বর্ণালীতে একটি নির্দিষ্ট অবস্থান আছে। আর রক্তবর্ণ একটি সংযুক্ত বর্ণ, যা নীল এবং লাল বর্ণের যোগফল। ইতিহাসে বেগুনী আর রক্তবর্ণ আভিজাত্য এবং মর্যাদার প্রতীক হয়ে ছিল। রোমের সম্রাটরা রক্তবর্ণের আলখেল্লা পরিধান করতেন, যা বাইজেন্থাইন সম্রাটরাও পরতেন। মধ্যযুগে বিশপ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসররা বেগুনী বস্ত্র পরিধান করতেন। এবং বিভিন্ন চিত্রকর্মে কুমারী মেরির পোশাকের রঙ বেগুনী দেখানো হয়েছে। ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্র এ কিছু জরিপ থেকে জানা যায় যে বেগুনীকে অনেকেই অপব্যয়, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য, রীতিবিরুদ্ধ, কৃত্রিম এবং অস্পষ্টতার বর্ণ বলে মনে করে।[8]
চীনা চিত্রকর্মএ বেগুনী মহাবিশ্ব এর সাদৃশ্যের চিত্র বহন করে,কারণ এটি লাল এবং নীলের সমন্বয়ে সৃষ্ট।[9] হিন্দুধর্ম এবং বৌদ্ধধর্মে বেগুনী মুকুট চক্রে শোভা পেয়েছে।[2]