ব্যবহারকারী:রিজওয়ান আহমেদ/মুহাম্মাদ
From Wikipedia, the free encyclopedia
মুহাম্মাদ[টীকা 1] (আরবি: مُحَمَّد, প্রতিবর্ণীকৃত: Muḥammad; ইংরেজি: [moʊˈhɑːməd]; আরবি: [mʊˈħæm.mæd]; আনুমানিক ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দ – ৮ জুন ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দ)[lower-alpha 1], পূর্ণ সম্মানসূচক নাম হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ছিলেন আরবের একজন ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতা এবং ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক।[4][lower-alpha 2] ইসলামি মতবাদ অনুযায়ী, তিনি আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত একজন নবী যিনি আদম, ইব্রাহিম, মুসা, ঈসা এবং অন্যান্য নবীদের একত্ববাদী শিক্ষাকে প্রচার ও দৃঢ় করতে এসেছিলেন।[5][6][7][8] মুসলমানগণ বিশ্বাস করেন যে, মুহাম্মাদ ছিলেন শেষ নবী বা রাসুল এবং আল্লাহ কর্তৃক তার নিকট নাযিলকৃত ধর্মগ্রন্থ আল-কুরআন ও তাঁর জীবনাদর্শ ইসলাম ধর্মের ভিত্তি।
এই ব্যবহারকারী পাতা অথবা অনুচ্ছেদটি পরিবর্ধন বা বড় কোনো পুনর্গঠনের মধ্যে রয়েছে। এটির উন্নয়নের জন্য আপনার যে কোনো প্রকার সহায়তাকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। যদি এই ব্যবহারকারী পাতা অথবা অনুচ্ছেদটি কয়েকদিনের জন্য সম্পাদনা করা না হয়, তাহলে অনুগ্রহপূর্বক এই টেমপ্লেটটি সরিয়ে ফেলুন। ৪৮ দিন আগে রিজওয়ান আহমেদ (আলাপ | অবদান) এই পাতাটি সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন। (হালনাগাদ) |
মুহাম্মাদ | |
---|---|
مُحَمَّد | |
অন্য নাম |
|
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | আনু. ৫৭০ খ্রি. (৫৩ হিজরিপূর্ব)[3] |
মৃত্যু | ৮ জুন ৬৩২(৬৩২-০৬-০৮) খ্রি. (১১ হিজরি; বয়স ৬১–৬২) মদিনা, হেজাজ, আরব |
সমাধিস্থল | ২৪°২৮′০৩″ উত্তর ৩৯°৩৬′৪১″ পূর্ব |
দাম্পত্য সঙ্গী | মুহাম্মাদের স্ত্রীগণ দেখুন |
সন্তান | মুহাম্মাদের সন্তানগণ দেখুন |
পিতামাতা |
|
যে জন্য পরিচিত | ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক |
অন্য নাম |
|
আত্মীয় |
|
আরবি নাম | |
ব্যক্তিগত (ইসম) | মুহাম্মাদ مُحَمَّد |
পৈত্রিক (নাসাব) | ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল মুত্তালিব ইবনে হাশিম ইবনে আবদ মানাফ ইবনে কুসাই ইবনে কিলাব ٱبْن عَبْد ٱللَّٰه بْن عَبْد ٱلْمُطَّلِب بْن هَاشِم بْن عَبْد مَنَاف بْن قُصَيّ بْن كِلَاب |
ডাকনাম (কুনিয়া) | আবু আল-কাসিম أَبُو ٱلْقَاسِم |
উপাধি (লাক্বাব) | খতমে নবুয়ত ('সর্বশেষ প্রেরিত নবী') خَاتَم ٱلنَّبِيِّين |
মুহাম্মাদ আনুমানিক ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে মক্কা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন।[3] তার পিতার নাম আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল মুত্তালিব এবং মাতার নাম আমিনা বিনতে ওহাব। মুহাম্মাদ এর জন্মের কিছু সময় পূর্বেই তার পিতা আব্দুল্লাহ মৃত্যুবরণ করেন। মুহাম্মাদ যখন ছয় বছর বয়সী, তখন তার মাতা আমিনাও মৃত্যুবরণ করেন। ফলে তিনি এতিম হয়ে যান।[9][10] এতিম মুহাম্মাদ তাঁর দাদা আবদুল মুত্তালিব এবং পরে তার চাচা আবু তালিবের আশ্রয়ে বড় হন।[11] পরবর্তী জীবনে, তিনি মাঝে মাঝে নূর পর্বতের হেরা নামক গুহায় রাত কাটাতেন এবং একাগ্রচিত্তে প্রার্থনা করতেন।
মুহাম্মাদ এর ৪০ বছর বয়সে, আনুমানিক ৬১০ খ্রিস্টাব্দে, হেরা গুহায় অবস্থানকালে জিবরাঈল নামক ফেরেশতা তার কাছে আসেন[3] এবং তাকে আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রথম ওহি বা বাণী পৌঁছে দেন।[12] ৬১৩ খ্রিস্টাব্দে[13] মুহাম্মাদ সর্বসমক্ষে এইসব বাণী প্রচার করা শুরু করেন।[14] তিনি ঘোষণা করেন, "আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়," আল্লাহর কাছে সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ (ইসলাম) হলো জীবনের একমাত্র সঠিক পথ (দ্বীন)[15] এবং তিনি আল্লাহর একজন নবী ও রাসূল, ইসলামের অন্যান্য নবীদের মতোই।"[6][16][17]
মুহাম্মাদ এর অনুসারীর সংখ্যা প্রথমদিকে খুবই কম ছিল। মক্কার বহুঈশ্বরবাদী কুরাইশদের পক্ষ থেকে তিনি ১৩ বছর ধরে নির্যাতনের শিকার হন। ক্রমাগত নিপীড়নের হাত থেকে বাঁচতে ৬১৫ খ্রিস্টাব্দে তাঁর কিছু অনুসারী আবিসিনিয়ায় (বর্তমান ইথিওপিয়া) চলে যান। পরবর্তীতে ৬২২ খ্রিস্টাব্দে তিনি ও তার অনুসারীরা মক্কা থেকে মদিনায় (তৎকালীন নাম ইয়াসরিব) চলে যান। এই ঘটনাকে ‘হিজরত’ বলা হয়। এই ঘটনার মাধ্যমে ইসলামি বর্ষপঞ্জি বা হিজরি সনের সূচনা হয়। মদিনায়, মুহাম্মাদ সকল গোত্রকে ঐক্যবদ্ধ করেন এবং একটি চুক্তির মাধ্যমে ‘মদিনার সনদ’ প্রতিষ্ঠা করেন। ৬২৯ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বরে, মক্কার গোত্রগুলোর সাথে আট বছরব্যাপী আন্তঃবৈরিতার পর, মুহাম্মাদ দশ হাজার মুসলিম সৈন্যের একটি বাহিনী নিয়ে মক্কা শহরের দিকে অগ্রসর হন। তিনি প্রায় বিনা রক্তপাতেই মক্কা নগরী জয় করেন। ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে বিদায় হজ্জ থেকে ফেরার কয়েক মাস পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর সময়, আরব উপদ্বীপের অধিকাংশ অঞ্চলে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছিল।[18][19]
মুহাম্মাদ তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আল্লাহর কাছ থেকে যে বাণীগুলো লাভ করেন সেগুলো কুরআনের আয়াত হিসেবে পরিগণিত হয়। মুসলিমদের নিকট এটি আল্লাহর অবিকৃত বাণী, যার ওপর ভিত্তি করে ধর্মটি প্রতিষ্ঠিত। কুরআনের পাশাপাশি মুহাম্মাদ এর নিজস্ব জীবনাদর্শ ও নির্দেশনা (সুন্নাহ), যা হাদিস ও সীরাহ গ্রন্থে বর্ণিত আছে, সেগুলোকেও ইসলামি আইনের উৎস হিসেবে গণ্য করা হয়।