ভূ-তাপীয় বিদ্যুৎশক্তি
From Wikipedia, the free encyclopedia
ভূতাপীয় বিদ্যুৎশক্তি হল ভূ-তাপীয় শক্তি দ্বারা উৎপন্ন বিদ্যুৎশক্তি। বর্তমানে বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে এই ক্ষমতা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে। এর মধ্যে শুষ্ক বাষ্প শক্তিকেন্দ্র, আলোক বাষ্প শক্তিকেন্দ্র এবং বাইনারি চক্র শক্তিকেন্দ্র অন্যতম। বর্তমানে ভূতাপীয় শক্তির সাহায্যে ২৬টি দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।[1] অন্যদিকে ভূতাপীয় তাপমাত্রা ব্যবহৃত হচ্ছে ৭০টি দেশে।
২০১৯ সাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে প্রায় ১৫.৮ গিগাওয়াটের শক্তিকেন্দ্র রয়েছে। যার ২৮% অর্থাৎ, ৩.৫৫ গিগাওয়াটের শক্তিকেন্দ্র যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত। ২০২০ সালের মধ্যে সারাবিশ্বে ১৪.৫-১৭.৬ গিগাওয়াটের শক্তিকেন্দ্র তৈরি হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।[2] ভূতাপীয় শক্তি সংস্থার তথ্যমতে বিশ্বে মোট সঞ্চিত ভূতাপীয় শক্তির ৬.৯ শতাংশ আমরা ব্যবহার করেছি। বিশ্বে মোট ভূতাপীয় শক্তি ৩৫ গিগাওয়াট থেকে ২ টেরাওয়াট হতে পারে। যেসকল দেশগুলো এই ভূতাপীয় শক্তি ব্যবহার করে নিজেদের ১৫ শতাংশ বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাচ্ছে তার মধ্যে এল সালভাদর, কেনিয়া, ফিলিপাইনস, আইসল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড এবং কোস্টারিকা অন্যতম।[3]
ভূতাপীয় ক্ষমতাকে নবায়নযোগ্য শক্তির মধ্যে ফেলা যায়। কারণ এই ক্ষেত্রে যে পরিমাণ তাপ পাওয়া যায় তা পৃথিবীর মোট তাপের তুলনায় নগন্য। ভূতাপীয় শক্তিকেন্দ্রগুলো থেকে যে পরিমাণ গ্রীনহাউজ গ্যাস নিঃসরিত হয় তা কয়লা-বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে অনেক কম। প্রতি কিলোও্যাট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ-এর জন্য ভূতাপীয় শক্তিকেন্দ্রে ৪৫ গ্রাম কার্বন নিঃসরণ হয়। যা কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের তুলনায় ৫ শতাংশেরও কম।[4]
২০৫০ সালের মধ্যে এই ভূতাপীয় শক্তি মানুষের চাহিদার ৩-৫ শতাংশ পূরণ করবে। ২১০০ সালের মধ্যে তা ১০ শতাংশ পূরণ করবে।