মঙ্গল গ্রহে বসতি স্থাপন
From Wikipedia, the free encyclopedia
মঙ্গল গ্রহে বসতি স্থাপনের ধারণাটি বেসরকারি মহাকাশ সংস্থা ও বেসরকারি কর্পোরেশনগুলির কাছ থেকে যেমন ব্যাপক সাড়া পেয়েছে এবং বিজ্ঞান কথাসাহিত্য রচনা, চলচ্চিত্র ও শিল্পের ক্ষেত্রেও এ বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ পেয়েছে।
সংস্থাগুলি বসতি স্থাপনের চেষ্টার প্রথম ধাপ হিসাবে মঙ্গল গ্রহে মানব অভিযানের পরিকল্পনার প্রস্তাব দিয়েছে, তবে কোনও মানুষ এখনো পর্যন্ত গ্রহটিতে পদার্পণ করেনি। তবে ল্যান্ডার ও রোভারগুলি গ্রহের উপরিভাগে সফলভাবে অন্বেষণ বা অনুসন্ধান করেছে এবং স্থলটির অবস্থার বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করেছে। গ্রহে কোনও মানুষদের অবতরণের আগে হ্যাপটিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মঙ্গল গ্রহের ভার্চুয়াল দর্শন প্রস্তাব করা হয়েছে।[2]
মঙ্গলে বসতি স্থাপনের মূল কারণগুলোর মধ্যে আছে কৌতূহল, মানুষবিহীন রোভারের আরও গভীর পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা করার প্রয়াস, এর উৎসসমূহে অর্থনৈতিক আগ্রহ এবং অন্যান্য গ্রহে বসতি স্থাপনের মাধ্যমে মানবজাতিকে বিলুপ্তি থেকে রক্ষা করার সম্ভাবনা সৃষ্টি। প্রতিবন্ধকতা ও ঝুঁকির মধ্যে আছে মঙ্গলে ভ্রমণের সময় এর ভূপৃষ্ঠের বিকিরণের সংস্পর্শে আসা, বিষাক্ত মাটি, নিম্ন মধ্যাকর্ষন, সুপেয় জলের অভাব, শীতল তাপমাত্রা এবং পৃথিবী থেকে মঙ্গল গ্রহের দূরত্ব ও যোগাযোগের বিচ্ছিন্নতা যা একাকিত্বের সৃষ্টি করে।
স্থায়ী বসতি স্থাপন নিয়ে গবেষণা করার ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক প্রতিশ্রুতি প্রদানকারী সরকারি মহাকাশ সংস্থাগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে—নাসা, ইএসএ, রসকসমস, ইসরো ও সিএনএসএ এবং বেসরকারি সংস্থাগুলি হল—স্পেসএক্স, লকহীড মার্টিন ও বোয়িং।