রক সঙ্গীত
From Wikipedia, the free encyclopedia
রক সঙ্গীত জনপ্রিয় সঙ্গীতের একটি বিস্তৃত ধারা যা ১৯৫০-এর দশকের মূলধারাতে প্রবেশ করে। ১৯৪০ এবং ১৯৫০-এর দশকের রিদম এ্যান্ড ব্লুজ, রক অ্যান্ড রোল, কান্ট্রি সংগীত-এর শিকড় জড়িয়ে আছে এবং উৎসারিত হয়েছে ফোক সংগীত, ক্ল্যাসিক্যাল সঙ্গীত এবং জ্যাজ সঙ্গীত থেকে। রক সঙ্গীতের শব্দ তৈরি হচ্ছে ইলেকট্রিক গিটার, ইলেকট্রিক বেজ গিটারের ও ড্রামসের রিদম অংশের ব্যাক বিটের মাধ্যমে এবং কি-বোর্ড বাদ্যযন্ত্র যেমন হ্যামন্ড অরগান, পিয়ানো বা ১৯৭০ -এর দশক থেকে ব্যবহৃত সিন্থেসাইজার। গিটার ও কি-বোর্ডের সাথে সাথে সাক্সোফোন ও ব্লজ স্টাইলের হারমোনিকাও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।এর সবচেয়ে শুদ্ধ রূপে থাকে তিনটি কর্ড, একটি শক্ত, গভীর ব্যাক বিট ও স্পর্শকরার মতো মেলোডি।[1]
রক সঙ্গীত | |
---|---|
শৈলীগত বূৎপত্তি |
|
সাংস্কৃতিক বূৎপত্তি | ১৯৪০-এর দশক , ১৯৫০-এর দশকে ইংল্যান্ড ও আমেরিকায় |
প্রথাগত বাদ্যযন্ত্র |
|
অমৌলিক গঠন | নিউ এইজ সঙ্গীত– সাইন্থপপ |
উপধারা | |
অল্টারনেটিভ রক – আর্ট রক– বিট সংগীত– ব্রিট পপ– ডেজার্ট রক–ডেট্রইট রক– ইমো– এক্সপেরিমেন্টাল রক– গ্যারেজ রক– গ্লাম রক– গ্রুপ সাউন্ড– গ্রুঞ্জ– হার্ডরক– হার্টল্যান্ড রক– হেভি মেটাল– ইন্সট্রুমেন্টাল রক– ইন্ডি রক– জাংগল পপ– ক্রাউটরক– ম্যাডচেস্টার– পোস্ট-ব্রিট পপ– পাওয়ার পপ– প্রোগ্রেসিভ রক – প্রোটো পাঙ্ক– সাইকেডেলিক রক – পাঙ্ক রক – রক নইর– সফট রক– সাউদার্ন রক– সার্ফ সঙ্গীত– সিম্ফোনিক রক | |
সম্মিলিত ধারা | |
অ্যাব্রোজিন্যাল রক– আফ্রো রক–আন্টোলিয়ান রক– ভাংরা রক– ব্লুজ রক – কান্ট্রি রক– ফ্লামেঙ্কো রক– ফোক রক– গ্লাম পাঙ্ক– ইন্ডো রক–ইন্ডাস্ট্রিয়াল রক– পাঙ্ক রক– জ্যাজ ফিউশন– পুন্টা রক– রাগা রক– রাই রক– র্যাপ রক– রকাবিলি– রকোসন – সাম্বা রক – স্পেস রক –স্টোনার রক – সূফী রক | |
অন্যান্য বিষয় | |
ব্যাকবিট –রক অপেরা – রক ব্যান্ড |
১৯৬০ এবং ১৯৭০ -এর দশকের রক সঙ্গীতের অনেক উপধারার উদ্ভব ঘটেছে।যখন এটা ফোক সঙ্গীতের সাথে মিশেছে তা হয়েছে ফোক রক, যখন তা মিশিয়ে ব্লুজের সাথে তা পরিণত হয়েছে ব্লুজ রক-এ এবং জ্যাজের সাথে জ্যাজ রক ফিউশন। ১৯৭০-এর দশকে রক সঙ্গীত অনুপ্রাণিত হয়েছে সোল, ফাঙ্ক এবং ল্যাটিন সঙ্গীত থেকে। ১৯৭০-এর দশকে রক সঙ্গীতের অনেকগুলো উপধারা যেমন গ্লাম রক, সফট রক, হেভি মেটাল,হার্ডরক, প্রোগ্রেসিভ রক এবং পাঙ্ক রক সৃষ্টি হয়েছে। ১৯৮০-এর দশকে রক সঙ্গীতের উপধারাগুলো হলো নিউ ওয়েভ, হার্ডকোর পাঙ্ক এবং অল্টারনেটিভ রক। ১৯৯০-এর দশকে রক সঙ্গীতের উদ্ভব হওয়া উপধারাগুলো হলো গ্রুঞ্জ, বিটপপ , ইন্ডি রক এবং ন্যু মেটাল। একটা সঙ্গীত দল যারা রক সঙ্গীত করে তাদের রক ব্যান্ড বা রক গ্রুপ বলে। একটা রক গ্রুপে সাধারণত একজন লিড গিটারিস্ট, একজন ড্রামার, একজন মূল ভোকাল এবং একজন বেজ গিটারিস্ট থাকে যা একটি চার মাত্রা তৈরি করে।মাঝে মাঝে একজনকে বাদ দিয়ে ভোকাল নিজেই কোন বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে একটা তিন মাত্রার ব্যান্ড তৈরি করতে পারে বা একজন বা দু’জন রিদম গিটারিস্টকে দলে নিয়ে এবং কি-বোডিস্টকে সাথে নিয়ে সদস্য সংখ্যা বাড়াতেও পারে।কিছু ধারার রক ব্যান্ড যারা একদম মূল রক অ্যান্ড রোলের অনুসারী তারা স্যাক্সোফোনও বাজাতে পারে।সচরাচর দেখা যায় না এমন বাদ্যযন্ত্রও বাজাতে পারে তারা যেমন ভায়োলিন বা সেলো অথবা ট্রাম্পেট বা ট্রম্বোন্স।
বর্তমানে অবশ্য রক শব্দটাকে ব্যবহার করা হয় একটা কম্বলের মতো ব্যবহার হিসেবে যা আচ্ছাদিত করে পপ সঙ্গীত, রেগে এবং মাঝে মাঝে এমনকি হিপহপকেও যা তার ইতিহাসের সাথে মানায় না।[2]