রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ
হিন্দু জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছা-সেবক সংগঠন / From Wikipedia, the free encyclopedia
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (সংক্ষেপে: আরএসএস)[1][2] ভারতের একটি হিন্দু জাতীয়তাবাদী,[3] স্বেচ্ছা-সেবক আধাসামরিক[4] সংগঠন।[5] আরএসএস সংঘ পরিবার নামে হিন্দু জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীর একটি অংশ।[4] ১৯২৫ সালে নাগপুর-বাসী ডাক্তার কে. বি. হেডগেওয়ার একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন রূপে আরএসএস প্রতিষ্ঠা করেন।[6] উদ্দেশ্য ছিল ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতা ও মুসলিম বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরোধিতা।[7] আরএসএস-এর বর্তমান সরসঙ্ঘচালক হলেন মোহন ভাগবত।[8]
সংক্ষেপে | আরএসএস |
---|---|
মূলনীতি | "ভারত মাতা কি জয়" |
গঠিত | ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯২৫ (৯৮ বছর আগে) (1925-09-27) |
প্রতিষ্ঠাতা | কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার |
আইনি অবস্থা | সক্রিয় |
সদরদপ্তর | নাগপুর, মহারাষ্ট্র, ভারত |
সদস্যপদ | ৫০-৬০ লক্ষ ৫১,৩৫৫টি শাখা |
দাপ্তরিক ভাষা | হিন্দি |
সরসঙ্ঘচালক (প্রধান) | মোহন ভাগবত |
সরকারয়াওয়াহ (সাধারণ সম্পাদক) | দত্তাত্রেয় হোসাবলে |
অনুমোদন | সংঘ পরিবার |
ওয়েবসাইট | rss.org |
আরএসএস স্বেচ্ছাসেবকেরা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন-সহ[6] বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে অংশ নিয়ে ভারতের একটি অগ্রণী হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠনে পরিণত হয়।[7] ১৯৯০-এর দশকের মধ্যে এই সংগঠন অসংখ্য স্কুল, দাতব্য প্রতিষ্ঠান ও মতাদর্শ প্রচারের উদ্দেশ্যে ক্লাব প্রতিষ্ঠা করে।[7] আরএসএস স্বেচ্ছাসেবকরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজও করে থাকে।[9] আরএসএস এক লক্ষেরও বেশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামোন্নয়ন, আদিবাসী উন্নয়ন, গ্রামীণ স্বনির্ভরতা, কৃষি কর্মসূচি পরিচালনা করে এবং কুষ্ঠ ও দুঃস্থ ছাত্রদের দেখাশোনা করে।[10][11][12]
কোনো কোনো সমালোচক আরএসএস-কে হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন বলে থাকেন।[13][14][15][16] ব্রিটিশ আমলে এই সংগঠন নিষিদ্ধ ছিল।[7] স্বাধীন ভারতে ১৯৪৮ সালে নাথুরাম গডসে নামে এক প্রাক্তন আরএসএস-সদস্য[17] মহাত্মা গান্ধীকে হত্যা করলে ভারত সরকার এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করে দেয়।[7][18][19] জরুরি অবস্থার সময় (১৯৭৫-৭৮) এবং ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরও এই সংগঠন নিষিদ্ধ হয়।