লাইসোজাইম
রাসায়নিক যৌগ / From Wikipedia, the free encyclopedia
লাইসোজাইম (ইসি ৩.২.১.১৭, মুরামিডেস, এন -অ্যাসিটাইলমুরামাইড গ্লাইকানহাইড্রোলেস; পদ্ধতিগত নাম পেপটাইডোগ্লাইকান এন -অ্যাসিটাইলমুরামইলহাইড্রোলেজ) হল একটি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এনজাইম যা প্রাণীদেহে উৎপাদিত হয়। এটি সহজাত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটি অংশ। এটি একটি গ্লাইকোসাইড হাইড্রোলেস যা নিম্নলিখিত প্রক্রিয়াটিতে অনুঘটক হিসেবে কাজ করে:
- একটি পেপটিডোগ্লাইকানে এন -অ্যাসিটাইলমুরামিক অ্যাসিড এবং এন -অ্যাসিটাইল- ডি -গ্লুকোসামিন অবশিষ্টাংশের মধ্যে এবং কাইটোডেক্সট্রিন-এ এন -অ্যাসিটাইল- ডি -গ্লুকোসামিন অবশিষ্টাংশের মধ্যে (১→৪)-বিটা-সংযোগের পানি দ্বারা বিয়োজন (হাইড্রোলাইসিস)
গ্লাইকোসাইড হাইড্রোলেজ, পরিবার ২২, লাইসোজাইম | |
---|---|
শনাক্তকারী | |
প্রতীক | ? |
InterPro | IPR000974 |
লাইসোজাইম | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
শনাক্তকরণ | |||||||||
ইসি নম্বর | 3.2.1.17 | ||||||||
ক্যাস নম্বর | 9001-63-2 | ||||||||
ডাটাবেজ | |||||||||
ইন্টএনজ | ইন্টএনজ প্রদর্শন | ||||||||
ব্রেন্ডা | ব্রেন্ডা অন্তর্ভুক্তি | ||||||||
এক্সপ্যাসি | নাইসজাইম প্রদর্শন | ||||||||
কেইজিজি | কেইজিজি অন্তর্ভুক্তি | ||||||||
মেটাসাইক | মেটাবোলিক পাথওয়ে | ||||||||
প্রায়াম | প্রোফাইল | ||||||||
পিডিবি গঠন | আরসিএসবি পিডিবি পিডিবিই পিডিবিসাম | ||||||||
জিন অন্টোলজি | AmiGO / কুইকগো | ||||||||
|
পেপটিডোগ্লাইকান হল গ্রাম-পজিটিভ ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরের প্রধান উপাদান।[1] এই হাইড্রোলাইসিসের ফলে ব্যাকটেরিয়া কোষের প্রাচীর ভেঙ্গে যায়। ফলে ব্যাকটেরিয়ার বিয়োজন ঘটে।
অশ্রু, লালা, মানুষের বুকের দুধ এবং শ্লেষ্মা থেকে প্রচুর পরিমাণে লাইসোজাইম নিঃসৃত হয়। এটি ম্যাক্রোফেজগুলির সাইটোপ্লাজমিক গ্রানুলে এবং পলিমারফোনিউক্লিয়ার নিউট্রোফিলস (পিএমএন) এও উপস্থিত থাকে। ডিমের সাদা অংশে প্রচুর পরিমাণে লাইসোজাইম পাওয়া যায়। সি-টাইপ লাইসোজাইমগুলি অনুক্রম এবং গঠনে α-ল্যাকটালবুমিনের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। এটি তাদের একই গ্লাইকোসাইড হাইড্রোলেজ পরিবার ২২ এর অংশ করে তোলে।[2] মানুষের মধ্যে সি-টাইপ লাইসোজাইম এনজাইম 'এলওয়াইজেড' জিন দ্বারা এনকোড করা হয়।[3][4]
মুরগির ডিমের সাদা অংশের লাইসোজাইম তাপীয়ভাবে স্থিতিশীল। এর গলনাঙ্ক ৭২°সে. এবং পিএইচ ৫.০ পর্যন্ত পৌঁছায়।[5] অপরদিকে মানুষের দুধের লাইসোজাইম সেই তাপমাত্রায় খুব দ্রুত কার্যক্ষমতা হারায়।[6] মুরগির ডিমের সাদা অংশের লাইসোজাইম পিএইচ (৬-৯) এর বৃহৎ পরিসরে তার কার্যকলাপ বজায় রাখতে সক্ষম।[7] এর আইসোইলেকট্রিক পয়েন্ট ১১.৩৫।[8] মানুষের দুধের লাইসোজাইমের আইসোইলেক্ট্রিক পয়েন্ট ১০.৫-১১।[9]