সমকামভীতি
From Wikipedia, the free encyclopedia
সমকামিতা বা সমকামিদের প্রতি নেতিবাচক ধারণা প্রকাশ কিংবা ভয় পাওয়াকে হোমোফোবিয়া বা সমকামভীতি বলে। তবে লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল কিংবা ট্রান্সজেন্ডার অর্থাৎ এলজিবিটিদের প্রতি ঘৃণামূলক আচরণকে হোমোফোবিক আচরণ বলে অভিহিত করা হয়।[1][2][3] এই আচরনের সূত্রপাত প্রায়শঃই ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে হয়ে থাকে।[4][5] সমকামভীতি যৌন অভিমূখীতার ভিত্তিতে, বিপরীতকামিতা বাদে অন্যদের সামাজিক বৈষম্য ও জবরদস্তিকে উস্কে দেয়। বেশ কিছুক্ষেত্রে সাংগঠনিক ভাবে হোমোফোবিয়া দেখা যায়। যেমনঃ ধর্মীয় হোমোফোবিয়া, অভ্যন্তরীণ হোমোফোবিয়া ইত্যাদি। সমলিঙ্গের প্রতি আকৃষ্ট মানুষেরা কোন কোন ক্ষেত্রে হোমোফোবিক আচরণ করে থাকে, সেটাকে অভ্যন্তরীণ হোমোফোবিয়া বলে আখ্যায়িত করা হয়। এলজিবিটি সম্প্রদায় এই ধরনের নেতিবাচক ধারণা পোষণকারীদের কিছু নাম দিয়ে আলাদাভাবে চিহ্নিত করেছে। লক্ষ করা যায়, নির্দিষ্ট যৌন অভিমূখিতার নেতিবাচকধারণা পোষণকারীদের নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়। যেমনঃ লেসবোফোবিয়া দ্বারা লেসবিয়ানদের প্রতি নেতিবাচক ধারণ পোষণ করা বোঝায়। অনুরূপভাবে,বাইফোবিয়া,ট্রান্সফোবিয়া শব্দগুলোরও উৎপত্তি ঘটেছে।[6][7] বেশ অনেক জায়গায়ই সমকামভীতি শব্দের ব্যবহার নিয়ে আপত্তি করা হয়ে থাকে এবং বলা হয়ে থাকে শব্দটি প্রকৃতপক্ষে সুনির্দিষ্ট নয়।