স্বতঃবাষ্পীভবন
From Wikipedia, the free encyclopedia
স্বতঃবাষ্পীভবন এক ধরনের বাষ্পীভবন যাতে তরল এর পৃষ্ঠ দেশে তরল থেকে গ্যাসীয় অবস্থায় পরিবর্তন সাধিত হয়। [1] চারপাশের গ্যাস বাষ্পীভূত পদার্থের দ্বারা সম্পৃক্ত হয় না। যখন তরলের অণুগুলির মধ্যে সংঘর্ষ হয় তখন তাদের একে অপরের সাথে কীভাবে সংঘর্ষ হয় তার ভিত্তিতে তারা একে অপরকে শক্তি স্থানান্তর করে। যখন পৃষ্ঠের কাছাকাছি একটি অণু বাষ্প চাপ কাটিয়ে উঠতে পর্যাপ্ত শক্তি শোষণ করে তখন তা তরল থেকে বেরিয়ে এসে পার্শ্ববর্তী বাতাসে গ্যাস হিসাবে প্রবেশ করে।[2] যখন বাষ্পীভবন ঘটে তখন বাষ্পীভূত তরল থেকে শক্তি বেরিয়ে এসে তরলের তাপমাত্রা হ্রাস করে। ফলে ঘটে বাষ্পীভবন শীতলীকরণ। [3]
তরলে থাকা অণুগুলির মধ্যে গড়ে একটি ভগ্নাংশের অণুর তরল থেকে বেরিয়ে আসতে পারার পর্যাপ্ত তাপ শক্তি থাকে। তরলের বাষ্পীভবন একটি ভারসাম্যে না পৌঁছানো অবধি অব্যাহত থাকে। যখন তরলের বাষ্পীভবন তরলের ঘনীভবনের সমান হয়ে যায় তখন এই ভারসাম্য অবস্থাপ্রাপ্ত হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত না পার্শ্ববর্তী বায়ু তার দ্বারা সম্পৃক্ত হয়ে যায় ততোক্ষণ পর্যন্ত কোনও বদ্ধ পরিবেশে তরল বাষ্পীভূত হয়।
বাষ্পীভবন হলো জলচক্র এর একটি অপরিহার্য অঙ্গ। সূর্য (সৌর শক্তি) সমুদ্র, হ্রদ, মাটির আর্দ্রতা এবং জলের অন্যান্য উৎসগুলি থেকে জলের বাষ্পীভবন পরিচালনা করে। জলবিজ্ঞানে বাষ্পীভবন এবং প্রস্বেদন (যা উদ্ভিদে পত্ররন্ধ্রর মধ্যে বাষ্পীভবন জড়িত) কে সম্মিলিতভাবে বাষ্পীভূতকরণ বলা হয়। তরলের পৃষ্ঠ উন্মুক্ত হলে জলের বাষ্পীভবন ঘটে। তখন অণুগুলি বেরিয়ে আসতে চাইলে জলীয় বাষ্প গঠন করে। এই বাষ্প তখন উপরে উঠে মেঘ গঠন করতে পারে। পর্যাপ্ত শক্তির সাথে তরলটি তখন বাষ্পে পরিণত হয়।