হ্যালির ধূমকেতু
ধূমকেতু / From Wikipedia, the free encyclopedia
হ্যালির ধূমকেতু (ইংরেজি: Halley's Comet) বা ধূমকেতু হ্যালি (ইংরেজি: Comet Halley), প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ১পি/হ্যালি (ইংরেজি: 1P/Halley) নামাঙ্কিত, [1] হল পৃথিবী থেকে প্রতি ৭৫-৭৬ বছরে দৃশ্যমান একটি স্বল্প-পর্যায়ের ধূমকেতু।[1][10][11][12] হ্যালির ধূমকেতুই হল একমাত্র জ্ঞাত স্বল্প-পর্যায়ের ধূমকেতু যা পৃথিবী থেকে খালি চোখে দেখা যায় এবং সেই কারণে এটিই খালি চোখে দৃশ্যমান একমাত্র ধূমকেতু যা একজন মানুষের জীবদ্দশায় দুই বার দৃষ্টিগোচর হতে পারে।[13] সৌরজগতের অভ্যন্তরীণ অংশে হ্যালির ধূমকেতু শেষ বার উপস্থিত হয়েছিল ১৯৮৬ সালে এবং এরপরে আবার আসবে ২০৬১ সালের মধ্যভাগে।[14]
আবিষ্কার | |
---|---|
আবিষ্কারক | প্রাগৈতিহাসিক (পর্যবেক্ষণ) এডমন্ড হ্যালি (পর্যায়ক্রমের শনাক্তকরণ) |
আবিষ্কারের তারিখ | ১৭৫৮ (প্রথম পূর্বকথিত অনুসূর অবস্থান) |
কক্ষপথের বৈশিষ্ট্য[1] | |
যুগ ১৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৪ (২৪৪৯৪০০.৫) | |
অপসূর | ৩৫.০৮২ জ্যো.এ. |
অনুসূর | ০.৫৮৬ জ্যো.এ. (শেষ অনুসূর অবস্থান: ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৬) (পরবর্তী অনুসূর অবস্থান: ২৮ জুলাই, ২০৬১)[2] |
অর্ধ-মুখ্য অক্ষ | ১৭.৮৩৪ জ্যো.এ. |
উৎকেন্দ্রিকতা | ০.৯৬৭১৪ |
কক্ষীয় পর্যায়কাল | ৭৫.৩২ বছর |
গড় ব্যত্যয় | ৩৮.৩৮° |
নতি | ১৬২.২৬° |
উদ্বিন্দুর দ্রাঘিমা | ৫৮.৪২° |
নিকটবিন্দুর সময় | ২৮ জুলাই, ২০৬১[2] |
অনুসূরের উপপত্তি | ১১১.৩৩° |
ভৌত বৈশিষ্ট্যসমূহ | |
মাত্রাসমূহ | ১৫ কিমি × ৮ কিমি[3] |
ভর | ২.২×১০১৪ কিগ্রা[4] |
গড় ঘনত্ব | ০.৬ [[গ্রাম/সেমি৩]] (গড়)[5] ০.২–১.৫ গ্রাম/সেমি৩ (আনুমানিক)[6] |
মুক্তি বেগ | ~টেমপ্লেট:V2 কিমি/সে |
ঘূর্ণনকাল | ২.২ দিন (৫২.৮ ঘণ্টা) (?)[7] |
প্রতিফলন অনুপাত | ০.০৪[8] |
আপাত মান | ২৮.২ (২০০৩ সালে)[9] |
অভ্যন্তরীণ সৌরজগতে হ্যালির ধূমকেতুর পর্যায়ক্রমিক প্রত্যাবর্তন অন্তত খ্রিস্টপূর্ব ২৪০ অব্দ থেকে সারা বিশ্বের জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের দ্বারা পর্যবেক্ষিত ও নথিবদ্ধ হয়ে এসেছে। কিন্তু ১৭০৫ সালে ইংরেজ জ্যোতির্বিজ্ঞানী এডমন্ড হ্যালির আগে কেউই বুঝতে পারেননি যে এই আবির্ভাবগুলি আসলে একই ধূমকেতুর পুনরাবির্ভাব মাত্র। এই আবিষ্কারের ফলেই ধূমকেতুটি এখন হ্যালির নামাঙ্কিত হয়েছে।[15]
১৯৮৬ সালের আবির্ভাবকালে হ্যালির ধূমকেতুই ছিল প্রথম ধূমকেতু যেটিকে মহাকাশযানের মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল এবং যার ফলে একটি নিউক্লিয়াসের গঠনভঙ্গিমা এবং কোমা ও পুচ্ছ গঠনের কার্যপ্রণালী সম্পর্কে প্রথম পর্যবেক্ষণমূলক তথ্য সংগ্রহ সম্ভব হয়।[16][17] এই সব পর্যবেক্ষণ দীর্ঘকাল ধরে প্রচলিত ধূমকেতু গঠন-সংক্রান্ত একাধিক অনুকল্পকে সমর্থন করে। বিশেষভাবে সমর্থিত হয় ফ্রেড হুইপলের "ধূলিময় তুষারগোলক" মডেলটি, যার মাধ্যমে নিখুঁতভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করে বলা হয়েছিল যে হ্যালির ধূমকেতু জল, কার্বন ডাইঅক্সাইড ও অ্যামোনিয়ার মতো উদ্বায়ী বরফের একটি মিশ্রণ ও ধুলো দ্বারা গঠিত। এই অভিযানগুলি থেকে যে তথ্য পাওয়া যায় তা এই জাতীয় ধারণাগুলিকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সংশোধন ও পুনর্মূল্যায়ণ করতে সহায়তা করে। উদাহরণস্বরূপ, এখন জানা গিয়েছে যে হ্যালির ধূমকেতুর পৃষ্ঠভাগ প্রধানত ধুলো, অনুদ্বায়ী পদার্থ ও অল্প পরিমাণে বরফ দ্বারা গঠিত যা প্রতিফলন ঘটেছে