২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপ
ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১১শ আসর / From Wikipedia, the free encyclopedia
ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৫ আইসিসি কর্তৃক পরিচালিত ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার[2] একাদশ আসর। ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ মার্চ, ২০১৫ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড - যৌথভাবে আয়োজন করে। সর্বমোট ৪৯টি খেলা অনুষ্ঠিত হবার কথা থাকলেও বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার খেলাটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত ঘোষিত হয়। তন্মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড, ব্রিসবেন, ক্যানবেরা, হোবার্ট, মেলবোর্ন, পার্থ ও সিডনির ১৪ মাঠে ২৬টি এবং নিউজিল্যান্ডের ৭ শহর - অকল্যান্ড, ক্রাইস্টচার্চ, ডুনেডিন, হ্যামিল্টন, নেপিয়ার, ওয়েলিংটন ও নেলসনে ২৩টি খেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।[3]
তারিখ | ১৪ই ফেব্রুয়ারি – ২৯শে মার্চ |
---|---|
তত্ত্বাবধায়ক | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল |
ক্রিকেটের ধরন | একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট |
প্রতিযোগিতার ধরন | রাউন্ড রবিন ও নক আউট |
আয়োজক | অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ড |
বিজয়ী | অস্ট্রেলিয়া (৫ম শিরোপা) |
রানার-আপ | নিউজিল্যান্ড |
অংশগ্রহণকারী দলসংখ্যা | ১৪[1] |
খেলার সংখ্যা | ৪৯ |
দর্শক সংখ্যা | ১০,১১,৪৩৯ জন (ম্যাচ প্রতি ২০,৬৪২ জন) |
প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় | মিচেল স্টার্ক |
সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী | মার্টিন গাপটিল (৫৪৭) |
সর্বাধিক উইকেটধারী | মিচেল স্টার্ক (২২) ট্রেন্ট বোল্ট (২২) |
আনুষ্ঠানিক ওয়েবসাইট | ক্রিকেট বিশ্বকাপ |
← ২০১১ ২০১৯ → |
১৯৯২ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর দেশ দু’টি দ্বিতীয়বারের মতো এ প্রতিযোগিতা যৌথভাবে আয়োজন করেছে। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলা মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আন্তর্জাতিক ক্রীড়া হিসেবে ১৪ দলের অংশগ্রহণে চার শতাধিক স্বীকৃত ক্রিকেটার ও কর্মকর্তা এতে অংশগ্রহণ করেছেন।
পূর্বতন চ্যাম্পিয়ন ও ২০১১ বিশ্বকাপের সহঃ-স্বাগতিক দেশ ভারত চূড়ান্ত খেলায় শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটের ব্যবধানে পরাভূত করে। বি-গ্রুপে অংশগ্রহণকারী দল ভারত বনাম পাকিস্তানের মধ্যকার খেলা ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। এক প্রতিবেদনে প্রকাশ পায় যে, মাত্র ১২ মিনিটের মধ্যে ঐ খেলার সমস্ত টিকেট বিক্রি হয়ে যায়।[4]
শচীন তেন্ডুলকর এ প্রতিযোগিতার জন্য আইসিসি কর্তৃক দূতের মর্যাদা পেয়েছেন। উল্লেখ্য যে, ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপেও তিনি দূত হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন।[5]
চূড়ান্ত খেলায় নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। খেলায় অস্ট্রেলিয়া ৭ উইকেটে জয়ী হয়ে পঞ্চমবারের মতো শিরোপা লাভ করে।