২০২২-২০২৩ সালের খাদ্য সংকট
From Wikipedia, the free encyclopedia
২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে খাদ্যের দাম এবং খাদ্য সরবরাহে ঘাটতি দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জটিল সংকট দেখা দেয়। সংকটসমূহ কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন খাদ্য নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক সঙ্কটের পরে আসে।
২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর খাদ্য ও কৃষি সংস্থা ছাড়াও খাদ্য পণ্যের বাজারের অন্যান্য পর্যবেক্ষকরা, খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় অপ্রতুলতা এবং মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক করেন।[1][2][3][4][5][6] বেশির ভাগ উদ্বেগের বিষয় ছিল গম, ভুট্টা এবং তৈলবীজের মতো প্রধান খাদ্য শস্যের সরবরাহের ঘাটতি, যা মূল্য বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।[3][6] এই আক্রমণের ফলে জ্বালানি এবং সংশ্লিষ্ট সারের দামও বেড়ে যায়, যার ফলে অধিক খাদ্যের ঘাটতি হয় এবং দাম বেড়ে যায়।[5][6]
যদিও আক্রমণের আগে থেকে খাদ্যের দাম ইতিমধ্যেই রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে যায়। খাদ্য ও কৃষি সংস্থা অনুসারে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, খাদ্যের দাম ২০% বেড়ে গিয়েছিল।[7] মার্চ মাসে যুদ্ধের কারণে মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে ৪০% বেড়ে যায়।[8] ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পাশাপাশি জলবায়ু-সম্পর্কিত ফসলের অবনতি সহ জটিল সমস্যাগুলো ক্ষুধা ও অপুষ্টি কমানোর বৈশ্বিক প্রবণতাকে বিপরীতমুখী করে তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে।[9]
পূর্ব আফ্রিকা এবং মাদাগাস্কারের মতো কিছু অঞ্চল ইতিমধ্যেই কৃষি ব্যবস্থার ব্যর্থতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে খরা ও দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হয়,[10][11] যারফলে মূল্য বৃদ্ধি সেখানকার পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলবে বলে আশঙ্কা করা হয়।[5][8] এমনকি বিশ্বের উত্তরের দেশগুলি যেগুলিতে সাধারণত নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ রয়েছে, যেমন যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার কারণে মূল্যস্ফীতির সরাসরি প্রভাব অনুভব করতে শুরু করে।[12] অনেক বিশ্লেষক এই মূল্য বৃদ্ধিকে ২০০৭-২০০৮ বিশ্ব খাদ্য মূল্য সংকটের পর সবচেয়ে ভয়াবহতম হিসাবে বর্ণনা করেন।[8] ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের গ্লোবাল রিস্ক রিপোর্ট ২০২৩ খাদ্য সরবরাহের সংকটকে একটি চলমান বৈশ্বিক ঝুঁকি হিসেবে বর্ণনা করে।[13]