অটল বিহারী বাজপেয়ী
ভারতের দশম প্রধানমন্ত্রী / From Wikipedia, the free encyclopedia
অটল বিহারী বাজপেয়ী (হিন্দি: अटल बिहारी वाजपायी আটাল্ বিহারী ভ়াজ্পাঈ, আ-ধ্ব-ব: [əʈəl bɪhaːɾiː ʋaːdʒpai]; ২৫ ডিসেম্বর ১৯২৪ – ১৬ আগস্ট ২০১৮) হলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী (দশম)। ১৯৯৬ সালে তিনি প্রথমবারের মত মাত্র ১৩ দিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। প্রথম ব্যক্তি হিসেবে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা হিসেবে এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এর বাইরে থেকে পূর্ণ মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।[1][2][3][4] ১৯৯৮ সালে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার তেরো মাস পর ১৯৯৯ সালের এপ্রিল মাসে জয়ললিতা অটলজির সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিলে আস্থাভোটে মাত্র একভোটের ব্যবধানে হেরে তার সরকারকে পদত্যাগ করতে হয়। একজন কবি এবং লেখক হিসেবেও তিনি বিখ্যাত ছিলেন।
অটল বিহারী বাজপেয়ী | |
---|---|
১০তম ভারতের প্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৯ মার্চ ১৯৯৮ – ২২ মে ২০০৪ | |
পূর্বসূরী | ইন্দ্র কুমার গুজরাল |
উত্তরসূরী | মনমোহন সিং |
কাজের মেয়াদ ১৬ মে ১৯৯৬ – ১ জুন ১৯৯৬ | |
পূর্বসূরী | পি ভি নরসিমা রাও |
উত্তরসূরী | এইচ ডি দেব গৌড়া |
এমপি | |
সংসদীয় এলাকা | লক্ষ্মৌ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | (১৯২৪-১২-২৫)২৫ ডিসেম্বর ১৯২৪ গোয়ালিয়র, ব্রিটিশ ভারত |
মৃত্যু | ১৬ আগস্ট ২০১৮(2018-08-16) (বয়স ৯৩) নতুন দিল্লি, ভারত |
জাতীয়তা | ভারত |
রাজনৈতিক দল | ভারতীয় জনতা পার্টি |
দাম্পত্য সঙ্গী | অকৃতদার |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | দেব কলেজ |
পেশা | রাজনীতিবীদ; কবি |
ধর্ম | হিন্দু |
স্বাক্ষর | |
ওয়েবসাইট | BJP: Shri A.B Vajpayee |
তিনি পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতের জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন, যার মধ্যে দশবার তিনি নিম্নকক্ষ অর্থাৎ লোকসভায় নির্বাচিত হন এবং দুবার উচ্চকক্ষ অর্থাৎ রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন। তিনি ২০০৯ সাল পর্যন্ত লোকসভায় লখনৌ থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ভারতীয় জনসংঘ এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন যেখানে ১৯৬৮ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন৷
তার শাসনামলে ভারত ১৯৯৮ সালে পোখারানে পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। বাজপেয়ী পাকিস্তানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করতে চেয়েছিলেন, তাই প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের সাথে সাক্ষাত করার জন্য বাসে করে লাহোর ভ্রমণ করেন। ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের সাথে কার্গিল যুদ্ধের পর তিনি প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফের সাথে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেন, এজন্য তাকে আগ্রায় একটি শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানান।
২০১৪ সালে মোদি সরকার তার জন্মদিন অর্থাৎ ২৫শে ডিসেম্বর কে সুশাসন দিবস হিসেবে পালন করার কথা ঘোষণা করে। ২০১৫ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় তাকে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ভারতরত্নে ভূষিত করে। তিনি ১৬ আগস্ট ২০১৮ সালে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে মৃত্যুবরণ করেন।