রাম মন্দির, অযোধ্যা
ভারতের একটি হিন্দু মন্দির / From Wikipedia, the free encyclopedia
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দির হল ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের অযোধ্যায় নির্মিত একটি হিন্দু মন্দির। এটি রাম জন্মভূমিতে অবস্থিত, যা হিন্দু ধর্মবিশ্বাসীদের মতে হিন্দুধর্মের অন্যতম প্রধান দেবতা রামের জন্মস্থান।[5][6]
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দির | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | হিন্দুধর্ম |
ঈশ্বর | রাম লালা (রামের শিশু রূপ) |
উৎসবসমূহ | রাম নবমী, দিওয়ালি, দশেরা |
পরিচালনা সংস্থা | শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র |
অবস্থা | নির্মাণাধীন |
অবস্থান | |
অবস্থান | রাম জন্মভূমি, অযোধ্যা |
রাজ্য | উত্তরপ্রদেশ |
দেশ | ভারত |
স্থানাঙ্ক | ২৬.৭৯৫৬° উত্তর ৮২.১৯৪৩° পূর্ব / 26.7956; 82.1943 |
স্থাপত্য | |
স্থপতি | সোমপুরা পরিবার[lower-alpha 1] |
ধরন | হিন্দু মন্দির স্থাপত্য |
স্থাপত্য শৈলী | নগর স্থাপত্য শৈলী |
সৃষ্টিকারী | শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র |
ভূমি খনন | ৫ আগস্ট ২০২০; ৩ বছর আগে (2020-08-05)[3] |
সম্পূর্ণ হয় | ২২ জানুয়ারি ২০২৪; ৪ মাস আগে (2024-01-22)[4] |
বিনির্দেশ | |
দৈর্ঘ্য | ৩৬০ ফুট (১১০ মি) |
প্রস্থ | ২৩৫ ফুট (৭২ মি) |
উচ্চতা (সর্বোচ্চ) | ১৬১ ফুট (৪৯ মি) |
স্থানের এলাকা | ২.৭ একর (১.১ হেক্টর) |
মন্দির | মন্দির চত্বরে একটি কেন্দ্রীয় মন্দিরের চারপাশে ৬টি সহ মন্দির |
ওয়েবসাইট | |
srjbtkshetra |
মন্দিরটি খ্রিস্টীয় ১৬তম শতাব্দীতে নির্মিত বাবরি মসজিদের স্থানে নির্মিত হয়। ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে মসজিদের ভিতর রাম ও সীতার মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল; মসজিদটি ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে আক্রমণ করে ভেঙে ফেলা হয়। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে একটি রায় প্রদান করে। রায়ে বিতর্কিত জমিটি মন্দির নির্মাণের জন্য হিন্দুদের দেওয়া হয় এবং মুসলমানদের মসজিদ নির্মাণের জন্য অন্যত্র জমি প্রদান করা হয়। আদালত ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের একটি প্রতিবেদনকে প্রমাণ হিসাবে উল্লেখ করে, প্রতিবেদনে বলা হয় বাবরি মসজিদের নিচে একটি কাঠামোর উপস্থিতি পাওয়া গেছে, যেটি কোনও ইসলামি স্থাপনা নয়।[7]
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২০ সালের ৫ই আগস্ট রাম মন্দির নির্মাণের সূচনার জন্য ভূমি পূজা (ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান) করেন।[8][9] মন্দিরটি, বর্তমানে নির্মাণাধীন, শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র দ্বারা তত্ত্বাবধান করা হচ্ছে। ২০২৪ খ্রিস্টাব্দের ২২শে জানুয়ারি রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্টার মাধ্যমে উদ্বোধনের করা হয়।[10] মন্দির চত্বরে সূর্য, গণেশ, শিব, দুর্গা, বিষ্ণু ও ব্রহ্মার মন্দির অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।[9]
ভারতীয় জনতা পার্টির দ্বারা অনুদানের অপব্যবহার, প্রধান আন্দোলন কর্মীদের কোণঠাসা করা এবং রাজনীতিকরণের কারণে মন্দিরটিকে ঘিরে বেশ কয়েকটি বিতর্কের জন্ম হয়েছে।[11][12][13][14]