গতি
সময়ের সাথে বস্তুর অবস্থান পরিবর্তন / From Wikipedia, the free encyclopedia
পদার্থবিজ্ঞানে গতি হলো এমন ঘটনা যেখানে সময়ের সাথে সাথে বস্তুর অবস্থান পরিবর্তিত হয়। পদার্থবিজ্ঞানে সময়ের সাথে কোন বস্তুর সরণের হারকে গতি/বেগ বলে। এখানে বেগ একটি ভেক্টর রাশি। গাণিতিকভাবে গতিকে সাধারণত সরণ, দূরত্ব, বেগ, দ্রুতি, ত্বরণ এবং সময়ের সাহায্যে ব্যাখ্যা করা হয়। একজন পর্যবেক্ষকের সাথে একটি প্রসঙ্গ কাঠামো যুক্ত করে সময়ের সাথে ঐ প্রসঙ্গ কাঠামোর সাপেক্ষে কোনো বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তন নির্ণয়ের মাধ্যমে বস্তুটির গতি পর্যবেক্ষণ করা হয়। পদার্থবিজ্ঞানে যে শাখায় কারণ উল্লেখ না করে কোনো বস্তুর গতি বর্ণনা করা হয় তা হলো স্থিতিবিদ্যা; এবং যে শাখায় বল ও এর প্রভাব বর্ণনা করা হয় তা হলো গতিবিদ্যা।
গতি হলো সময়ের সাথে সাথে প্রসঙ্গ কাঠামোর সাপেক্ষে কোন কিছুর অবস্থান পরিবর্তনের ঘটনা।
যদি কোনো বস্তু প্রদত্ত প্রসঙ্গ কাঠামোর সাপেক্ষে সময়ের সাথে অবস্থান পরিবর্তন না করে তাহলে বস্তুটিকে স্থিতিশীল, গতিহীন, নিশ্চল অথবা এর আশেপাশের সাপেক্ষে ধ্রুব অবস্থানে রয়েছে বলা হয়। যেহেতু কোনো প্রসঙ্গ কাঠামোই পরম নয়, সুতরাং পরম গতি নির্ণয় করা সম্ভব নয়।[1] তাই মহাবিশ্বের সবকিছুই গতিশীল বিবেচনা করা যেতে পারে।[2]:২০–২১
বস্তু, পদার্থ কণা, পদার্থ ক্ষেত্র, বিকিরণ, বিকিরণ ক্ষেত্র, বিকিরণ কণা, বক্রতা এবং স্থান-কাল সহ বহুবিধ ক্ষেত্রে গতির প্রভাব বিদ্যমান। এসব ভৌত ব্যবস্থার ব্যাখ্যায় গতি ও গতি-উদ্ভূত বিভিন্ন ধারণার প্রয়োগ করা হয়। প্রতিচ্ছবি, আকার এবং সীমানার গতিও এ প্রসঙ্গে আলোচ্য। সুতরাং গতি শব্দটি সাধারণভাবে কোন স্থানে একটি ভৌত ব্যবস্থা বা কনফিগারেশনের অবিচ্ছিন্ন পরিবর্তনকে নির্দেশ করে। উদাহরণস্বরূপ, তরঙ্গ অথবা কোয়ান্টাম কণার গতির কথা বলা যেতে পারে, যেখানে কনফিগারেশনটির নির্দিষ্ট অবস্থান থাকার সম্ভাবনা বিদ্যমান।
কোন বস্তুর গতিকে যে প্রধান রাশিটি দ্বারা পরিমাপ করা হয় তা হল ভরবেগ, যা বস্তুটির ভর ও বেগের গুণফল। বস্তুর ভর ও বেগের বৃদ্ধিতে এর ভরবেগও বৃদ্ধি পায়। ভরবেগের নিত্যতার সূত্রানুসারে কোন ব্যবস্থার উপর প্রযুক্ত নিট বাহ্যিক বল শূন্য হলে ব্যবস্থাটির মোট ভরবেগ সংরক্ষিত বা অপরিবর্তিত থাকে। বিশদভাবে বলা যায়, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ারত একাধিক বস্তুর মধ্যে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বল ব্যতীত অন্য কোন বল কাজ না করলে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ঘটার পূর্বের মোট ভরবেগ ও পরের মোট ভরবেগ সমান হবে।গতির সাহায্যে আমরা চলাফেরা করতে পারি