পুঁজিবাদ
ব্যক্তিগত মালিকানা ভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা / From Wikipedia, the free encyclopedia
পুঁজিবাদ হল একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, যা ব্যক্তিগত মালিকানা, উৎপাদনের উপায়ের নিয়ন্ত্রণ এবং লাভের জন্য তাদের পরিচালনার উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত। পুঁজিবাদ ব্যবস্থায় সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ মালিকদের কাছে থাকে এবং এতে রাষ্ট্রের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। এর বিপরীতে হল সাম্যবাদ।[1][2][3][4] পুঁজিবাদের কেন্দ্রীয় বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে পুঁজি সংগ্রহ, প্রতিযোগিতামূলক বাজার, সরবরাহ ও চাহিদা দ্বারা নির্ধারিত একটি মূল্য ব্যবস্থা, ব্যক্তিগত সম্পত্তি, সম্পত্তির অধিকার-স্বীকৃতি, স্বেচ্ছাসেবা বিনিময় ও মজুরিভিত্তিক শ্রম।[5]পুঁজিবাদী বাজার অর্থনীতিতে, সিদ্ধান্তগ্রহণ ও বিনিয়োগ; সম্পদ, সম্পত্তি, পুঁজি চালনা করার ক্ষমতা বা পুঁজিবাজার ও আর্থিক বাজারে উৎপাদন ক্ষমতার মালিকদের দ্বারা নির্ধারিত হয়—যেখানে মূল্য এবং পণ্য ও পরিসেবার বন্টন প্রধানত পণ্য ও সেবার বাজারের প্রতিযোগিতার দ্বারা নির্ধারিত হয়।[6]
এই নিবন্ধটি ইংরেজি থেকে আনাড়িভাবে অনুবাদ করা হয়েছে। এটি কোনও কম্পিউটার কর্তৃক অথবা দ্বিভাষিক দক্ষতাহীন কোনো অনুবাদক কর্তৃক অনূদিত হয়ে থাকতে পারে। |
বর্তমান কোনো দেশেরই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বা বিশুদ্ধভাবে পুঁজিবাদী নয়; [7][8][9][10] কেননা সরকার গ্রাহক চুক্তির বিবরণ এবং মুক্ত বাজারকে সমস্ত মূল্য নির্ধারণের অনুমতি দিতে পারে না।[11] অর্থনীতিবিদ, ইতিহাসবিদ, রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ এবং সমাজ- বিজ্ঞানীরা পুঁজিবাদের বিশ্লেষণে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছেন এবং বাস্তবক্ষেত্রে এর বিভিন্ন রূপকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এসবের মধ্যে রয়েছে: লেসে-ফেয়ার বা মুক্ত -বাজার পুঁজিবাদ, রাষ্ট্রীয় পুঁজিবাদ এবং কল্যাণমূলক পুঁজিবাদ। পুঁজিবাদের বিভিন্ন রূপ; যেমন: মুক্ত বাজার, জনস্বত্ব, মুক্ত প্রতিযোগিতার বাধা ও রাষ্ট্র-অনুমোদিত সামাজিক নীতির বিভিন্ন মাত্রার বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে। [12]
পুঁজিবাদের ভিন্ন মডেলে বাজারে প্রতিযোগিতার মাত্রা ও হস্তক্ষেপ ও নিয়ন্ত্রণের ভূমিকার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় মালিকানার সুযোগ পরিবর্তিত হয়ে থাকে।[13][14]কোন বাজার কতটা মুক্ত এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকার প্রদান করে, তা সংজ্ঞায়িত করার নিয়মগুলি রাজনীতি ও নীতির বিষয়। বিদ্যমান পুঁজিবাদী অর্থনীতিগুলো মিশ্র অর্থনীতি, যেখানে মালিকানা এবং উৎপাদনের উপায়গুলোর নিয়ন্ত্রণ বেশিরভাগই ব্যক্তিগত[15] এবং তা রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ এবং কিছু ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনার সাথে মুক্ত বাজারের উপাদান সংযুক্ত করে। [16] তাই ইতালি, নিউজিল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন ও ফ্রান্সের মতো বৈচিত্র্যময় দেশের উল্লেখ করার জন্য রাজনৈতিক আলোচনায় পুঁজিবাদ শব্দটি খুব শিথিলভাবে ব্যবহৃত হয়; যতক্ষণ না যথেষ্ট পরিমাণে মুক্তবাণিজ্য থাকে এবং সেখানকার সরকার উৎপাদনের প্রধান উপায়গুলির মালিক না হয়, তখন একটি দেশকে সাধারণত পুঁজিবাদী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। [17]
বাজার অর্থনীতি বিভিন্ন ধরনের সরকারের অধীনে এবং বিভিন্ন সময়ে, স্থান ও সংস্কৃতিতে বিদ্যমান রয়েছে। আধুনিক পুঁজিবাদী সমাজগুলো পশ্চিম ইউরোপে এমন একটি প্রক্রিয়ায় বিকশিত হয়েছিল যা শিল্প বিপ্লবের দিকে নিয়ে গিয়েছিল। বিভিন্ন মাত্রার প্রত্যক্ষ সরকারি হস্তক্ষেপসহ পুঁজিবাদী ব্যবস্থা পশ্চিমা বিশ্বে প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে এবং তা ছড়িয়েও পড়ছে। পুঁজিবাদী অর্থনীতির একটি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ প্রবণতা হলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি।
বিশ্বব্যাপী সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার পতনের পর পুঁজিবাদের ব্যপক উত্থান ঘটে।পুঁজিবাদের ব্যাপক সাফল্যের পাশাপাশি অঞ্চল ভেদে এর বেশ কিছু সীমাবদ্ধতাও লক্ষ্যনীয়। যেমনঃ পুঁজিবাদ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থনৈতিক বৈষম্য ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি করে। পুঁজিবাদের ছাতার নিচে অনেক শক্তিশালী কর্পোরেশন গড়ে ওঠে যারা রাষ্ট্রের কাছ থেকে নানাবিধ অন্যায় সুবিধা আদায় করে ফলে মুক্ত বাজার অর্থনীতির স্বাভাবিক ধারা আর বজায় থাকে না। এসব কর্পোরেশন তখন এককভাবে অথবা সম্মিলিতভাবে রাষ্ট্রকে জিম্মি করে ইচ্ছেমতো বাজার নিয়ন্ত্রণ করে ও জনগণের কাছ থেকে ইচ্ছেমতো মুনাফা তুলতে থাকে।[18]