সুইজারল্যান্ড
ইউরোপ মহাদেশের একটি রাষ্ট্র / From Wikipedia, the free encyclopedia
সুইজারল্যান্ড (জার্মান: die Schweiz, ফরাসি: la Suisse, ইতালীয়: Svizzera, রোমানশ: Svizra) আনুষ্ঠানিকভাবে সুইস কনফেডারেশন, পশ্চিম-মধ্য ইউরোপ একটি স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র। তবে এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য নয়। এর মুদ্রার নাম সুইস ফ্রাংক এবং বাৎসরিক স্থূল দেশজ উৎপাদনের পরিমাণ ৫১২.১ বিলিয়ন সুইস ফ্রাংক (২০০৭ খ্রিষ্টাব্দ)। এটি পৃথিবীর ধনী রাষ্ট্রসমূহের অন্যতম।
সুইস কনফেডারেশন | |
---|---|
জাতীয় সঙ্গীত: Swiss Psalm | |
রাজধানী | বের্ন (যুক্তরাষ্ট্রীয় রাজধানী) |
বৃহত্তম নগরী | জুরিখ |
সরকারি ভাষা | জার্মান, ফরাসি, ইতালীয়, রোমানশ[2] |
সরকার | গণতন্ত্র যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র |
• যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিষদ | M. Leuenberger P. Couchepin S. Schmid M. Calmy-Rey C. Blocher H.-R. Merz D. Leuthard |
স্বাধীনতা | |
• স্থাপন | ১ আগস্ট ১২৯১ |
• বাসেল সন্ধির (১৪৯৯) | ২২ সেপ্টেম্বর ১৪৯৯ |
• স্বীকৃতি | ২৪ অক্টোবর ১৬৪৮ |
• পুনঃস্থাপিত | ৭ আগস্ট ১৮১৫ |
• যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র | ১২ সেপ্টেম্বর ১৮৪৮ |
• পানি (%) | ৪.২ |
জনসংখ্যা | |
• ২০০৬ আনুমানিক | ৭,৫০৭,০০০ (৯৪) |
• ২০০০ আদমশুমারি | ৭,২৮৮,০১০ |
জিডিপি (পিপিপি) | ২০০৫ আনুমানিক |
• মোট | $২৬৪.১ বিলিয়ন (৩৯) |
• মাথাপিছু | $৩২,৩০০ (১০) |
জিডিপি (মনোনীত) | ২০০৫ আনুমানিক |
• মোট | $৩৬৭.৫ বিলিয়ন (১৮) |
• মাথাপিছু | $৫০,৫৩২ (৬) |
জিনি (২০০০) | ৩৩.৭ মাধ্যম |
মানব উন্নয়ন সূচক (২০০৬) | ০.৯৪৭ ত্রুটি: মানব উন্নয়ন সূচক-এর মান অকার্যকর · ৯ |
মুদ্রা | সুইস ফ্রাংক (CHF) |
সময় অঞ্চল | ইউটিসি+1 (CET) |
ইউটিসি+2 (CEST) | |
কলিং কোড | +৪১ |
ইন্টারনেট টিএলডি | .ch |
২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে জনসংখ্যা ছিল প্রায় পৌণে এক কোটি। এদেশে মানুষের মাথাপিছু বাৎসরিক আয় ৬৭,৮২৩ সুইস ফ্রাংক (২০০৭ খ্রিষ্টাব্দ)। আইনত সুইজারল্যান্ডের কোনও রাজধানী না থাকলেও দেশটির কার্যত রাজধানী হচ্ছে বের্ন। অন্যতম বিখ্যাত অন্য দুটি শহর হলো জুরিখ এবং জেনেভা। জুরিখের দিকের লোকেরা জার্মান এবং জেনেভার দিকের লোকেরা ফরাসি ভাষায় কথা বলে। আল্পস পর্বতমালা ও প্রশস্ত হ্রদ সুইজারল্যান্ডকে অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে রূপে ভূষিত করেছে। বিশ্বের পর্যটকদের জন্য এটি বিশেষ আকর্ষণীয় একটি দেশ।Tax Justice Network সুইজারল্যান্ডকে বিশ্বের সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে স্থান দিয়েছে।[3]
সুইজারল্যান্ডের ঘড়ি, ট্রেন এবং চকলেট খ্যাতি বিশ্বজোড়া। অবশ্য সুইস ব্যাংকসমূহ কালো টাকা নিরাপদে সংরক্ষণের জন্য কুখ্যাত। দেশটির কোনো নিয়মিত সেনাবাহিনী নেই। দেশটির রাজনৈতিক অবস্থা ভারসাম্যমূলক ও অত্যন্ত সুস্থির। সুইস সরকারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো প্রতিবছর ১লা জানুয়ারি তারিখে এর রাষ্ট্রপতি পরিবর্তিত হয়। ছয় বৎসরের জন্য গঠিত মন্ত্রীপরিষদের একেক জন মন্ত্রী পালাক্রমে এক বৎসরের জন্য রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।[4]