এস্তের দুফ্লো
নোবেল বিজয়ী ফরাসি অর্থনীতিবিদ / From Wikipedia, the free encyclopedia
এস্তের দুফ্লো[টীকা 1] (ফরাসি: Esther Duflo) (জন্ম ১৯৭২, প্যারিস, ফ্রান্স) একজন ফরাসি অর্থনীতিবিদ। তিনি বর্তমানে ম্যাসাচুসেট্স ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে দারিদ্র্য বিমোচন ও উন্নয়ন অর্থনীতিতে অধ্যাপক। আবদুল লতিফ জামিল পভার্টি একশন এইড-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং পরিচালক। বৈশ্বিক দারিদ্র্য দূরীকরণে অবদান রাখায় ভারতীয়-বংশোদ্ভূত মার্কিন অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মার্কিন অর্থনীতিবিদ মাইকেল ক্রেমারের সাথে ২০১৯ সালে অর্থনীতিতে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
এস্তের দুফ্লো Esther Duflo | |
---|---|
জন্ম | (1972-10-25) ২৫ অক্টোবর ১৯৭২ (বয়স ৫১) |
জাতীয়তা | ফ্রান্স |
প্রতিষ্ঠান | এমআইটি |
কাজের ক্ষেত্র | সামাজিক অর্থশাস্ত্র উন্নয়ন অর্থশাস্ত্র |
শিক্ষায়তন | এমআইটি একল নর্মাল স্যুপেরিয়র প্যারিস স্কুল অব ইকোনমিকস |
যাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন | অমর্ত্য সেন[1] অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় মাইকেল ক্রেমার |
যাদের প্রভাবিত করেছেন | বারাক ওবামা[2] |
পুরস্কার | জন বেটস ক্লার্ক পদক (2010) ক্যালভো-আরমেনজল আন্তর্জাতিক পুরস্কার (2010) ড্যান ডেভিড পুরস্কার (2013) |
Information at IDEAS / RePEc | |
এস্তের অর্থনীতিতে নোবেল জয়ী ২য় নারী এবং সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে ৪৫ বছর বয়সে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও নোবেল জয়ী ৫ম দম্পতি হিসেবে অভিজিৎ-এস্তের একসাথে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।[3] দুফ্লো স্নাতক পর্যায়ে একোল নর্মাল সুপেরিয়রে পড়াশোনা করেন। সেখানে তিনি প্রথমে ইতিহাস পড়া শুরু করেন ও পরে ফরাসি অর্থনীতিবিদ তোমা পিকেতি-র উপদেশে অর্থনীতিতে মনোযোগ দেন এবং উভয় বিষয়েই ১৯৯৪ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৯৯ সালে তিনি ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে অর্থশাস্ত্রে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন এবং সাথে সাথেই বিশ্ববিদ্যালয়টির অর্থনীতি বিভাগে যোগ দেন। তার পিএইচডি অভিসন্দর্ভের শিরোনাম ছিল Three Essays in Empirical Development Economics অর্থাৎ "অভিজ্ঞতাবাদী উন্নয়ন অর্থশাস্ত্রের উপর তিনটি প্রবন্ধ"। ২০০২ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়সে তিনি স্থায়ী চাকুরির নিশ্চয়তাসহ সহযোগী অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। তিনি এমআইটি-র স্থায়ী চাকুরির নিশ্চয়তাপ্রাপ্ত শিক্ষকমণ্ডলীর মধ্যে সর্বকনিষ্ঠদের একজন। এছাড়া তিনি কোলেজ দ্য ফ্রঁসের "Savoirs contre pauvreté" ("দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে জ্ঞান") আন্তর্জাতিক চেয়ার।
দুফ্লোর গবেষণার মূল বিষয় উন্নয়ন অর্থশাস্ত্র, যেখানে তিনি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জেন্ডার, রাজনীতি ও ঋণগ্রহণের ব্যবস্থার উপর জোর দিয়েছেন। তিনি এমআইটিতে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে পভার্টি অ্যাকশন ল্যাবের সহ-পরিচালক। তিনি অর্থশাস্ত্রে কার্য-কারণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে মাঠ পরীক্ষাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হিসেবে প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন।
দুফ্লো তার গবেষণার জন্য ২০০৩ সালে মার্কিন অর্থনৈতিক অ্যাসোসিয়েশনের কাছ থেকে ইলেইন বেনেট পুরস্কার লাভ করেন। পুরস্কারটি চল্লিশ বছরের কম বয়সের প্রতিভাবান মহিলা অর্থনীতিবিদদের দেওয়া হয়ে থাকে। ২০০৫ সালে ফ্রান্সের পত্রিকা ল্য মোঁদ তাকে "সেরা তরুণ ফরাসি অর্থনীতিবিদ" পুরস্কার প্রদান করে।
বহুভাষী এস্তের দুফ্লো (তিনি ফরাসি, ইংরেজি, রুশ ও জার্মান ভাষায় কথা বলতে পারেন) অ্যামেরিকান ইকোনমিক জার্নাল:অ্যাপ্লায়েড ইকোনমিক্স গবেষণা পত্রিকার সহ-প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক এবং রিভিউ অভ ইকোনমিক্স অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিক্স গবেষণা পত্রিকার সহসম্পাদক। এছাড়া তিনি ফরাসি পত্রিকা লিবেরাসিওঁতে নিয়মিত মাসিক কলাম লিখে থাকেন।
২০০৮ সালের মে মাসে মার্কিন ম্যাগাজিন ফরেন পলিসি তাকে বর্তমান বিশ্বের সেরা ১০০ বুদ্ধিজীবীর একজন হিসেবে নির্বাচিত করে। [4]