অমর্ত্য সেন
নোবেল জয়ী ভারতীয় বাঙালি অর্থনীতিবিদ / From Wikipedia, the free encyclopedia
অমর্ত্য সেন (জন্ম: ৩ নভেম্বর ১৯৩৩) অর্থনীতিতে নোবেল স্মারক পুরস্কার বিজয়ী একজন ভারতীয় বাঙালি অর্থনীতিবিদ ও দার্শনিক। দুর্ভিক্ষ, মানব উন্নয়ন তত্ত্ব, জনকল্যাণ অর্থনীতি ও গণ দারিদ্রের অন্তর্নিহিত কার্যকারণ বিষয়ে গবেষণা এবং উদারনৈতিক রাজনীতিতে অবদান রাখার জন্য ১৯৯৮ সালে তিনি অর্থনৈতিক বিজ্ঞানে ব্যাংক অফ সুইডেন পুরস্কার (যা অর্থনীতির নোবেল পুরস্কার হিসেবে পরিচিত) লাভ করেন। অমর্ত্য সেনই জাতিসংঘের বিভিন্ন দেশের শিক্ষা এবং মানব সম্পদ উন্নয়ন সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার জন্য মানব উন্নয়ন সূচক আবিষ্কার করেন।[1] তিনিই প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক না হয়েও জাতীয় মানবিকতা মেডেলে ভূষিত হন।[2]
অমর্ত্য সেন | |
---|---|
জন্ম | (1933-11-03) ৩ নভেম্বর ১৯৩৩ (বয়স ৯০) |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
মাতৃশিক্ষায়তন | ট্রিনিটি কলেজ, কেমব্রিজ (পিএইচ.ডি.)(বি.এ.) প্রেসিডেন্সি কলেজ (বি.এ.) |
পরিচিতির কারণ | জনকল্যাণ অর্থনীতি মানব উন্নয়ন তত্ত্ব |
দাম্পত্য সঙ্গী | নবনীতা দেবসেন (১৯৫৮–১৯৭৬) |
পুরস্কার | অর্থনীতিতে নোবেল স্মারক পুরস্কার (১৯৯৮) ভারতরত্ন (১৯৯৯) |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | অর্থনীতি |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স দিল্লী স্কুল অফ ইকোনমিক্স যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ম্যাসাচুসেট্স ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলি |
বর্তমানে তিনি টমাস ডাব্লিউ ল্যামন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক অধ্যাপক এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত আছেন। তিনি হার্ভার্ড সোসাইটি অফ ফেলোস, ট্রিনিট্রি কলেজ, অক্সব্রিজ এবং ক্যামব্রিজের একজন সিনিয়র ফেলো। এছাড়াও তিনি ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ক্যামব্রিজের ট্রিনিটি কলেজের মাস্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।[3][4] বর্তমানে তিনি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হেলথ ইমপ্যাক্ট ফান্ডের অ্যাডভাইজরি বোর্ড অব ইনসেন্টিভ ফর গ্লোবাল হেল্থ্ এর সদস্য। তিনিই প্রথম ভারতীয় শিক্ষাবিদ যিনি একটি অক্সব্রিজ কলেজের প্রধান হন। এছাড়াও তিনি প্রস্তাবিত নালন্দা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবেও কাজ করেছেন।[5][6]
অমর্ত্য সেনের লিখিত বই বিগত চল্লিশ বছর ধরে প্রায় তিরিশটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। তিনি ইকোনমিস্ট ফর পিস অ্যান্ড সিকিউরিটির একজন ট্রাষ্টি। ২০০৬ সালে টাইম ম্যাগাজিন তাকে অনূর্ধ্ব ষাট বছর বয়সী ভারতীয় বীর হিসেবে চিহ্নিত করেছে[7] এবং ২০১০ সালে তাকে বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় স্থান দেওয়া হয়। নিউ স্টেট্সম্যান ম্যাগাজিন তাকে বিশ্বের ৫০ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় স্থান দেয়।[8]