জাতীয়তাসূচক বিশেষণ
From Wikipedia, the free encyclopedia
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ হল কোন নির্দিষ্ট স্থানের অধিবাসী কিংবা স্থানীয় ব্যক্তিদেরকে সাধারণভাবে শনাক্তকরণে ব্যবহৃত শব্দ বা শব্দগুচ্ছ যা সাধারণত উক্ত জায়গাটির নামানুসারে উদ্ভব হয়[1]।এর উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ঢাকা শহরের অধিবাসীকে "ঢাকাইয়া", যুক্তরাষ্ট্র নামক দেশের ব্যক্তিকে "আমেরিকান" এবং সোয়াহিলি উপকূলের অধিবাসীকে সোয়াহিলি বলা হয়।
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ সবসময় কোন ব্যক্তির নাগরিকত্ব কিংবা বসবাসের স্থানকে সুস্পষ্টভাবে নির্দেশ নাও করতে পারে এবং অনেক বিশেষণ কোন ব্যক্তির জাতিতাত্ত্বিক নামের সঙ্গে মিশে দ্ব্যর্থতা সৃষ্টি করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ "থাই" বলতে থাইল্যান্ডের যে কোন নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর যেকোনো অধিবাসী কিংবা নাগরিককে বুঝাতে পারে অথবা আরও সংকীর্ণ ভাবে থাই জাতির সদস্যকে বোঝাতে পারে।
অন্যদিকে কিছু ব্যক্তিবর্গ একাধিক জাতীয়তাসূচক বিশেষণে বিশেষায়িত হতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাজ্যের স্থানীয় অধিবাসীকে "ব্রিটিশ", "ব্রিটন" কিংবা কথ্যভাষায় "ব্রিট" বলা যেতে পারে। কিছু ভাষায় জাতীয়তাসূচক ভাষার শব্দ ভান্ডার থেকে উদ্ভূত হতে পারে। যেমন ইংরেজি ভাষায় "Québécois(e)" শব্দটি প্রায়ই কুইবেকের অধিবাসীদেরকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয় (যদিও কুইবেকার ও ব্যবহৃত হয়)।