দক্ষিণ চীন সাগর
দক্ষিণ চীন সংলগ্ন সাগর / From Wikipedia, the free encyclopedia
দক্ষিণ চীন সাগর হল পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের একটি প্রান্তিক সাগর। এটি প্রায় ৩৫,০০,০০০ বর্গ কিমি (১৪,০০,০০০ বর্গ মাইল) এলাকা জুড়ে উত্তরে দক্ষিণ চীনের তীর (নামের কারণ), পশ্চিমে ইন্দোচীন উপদ্বীপ, পূর্বে তাইওয়ান ও উত্তর-পশ্চিম ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জ (প্রধানত লুসোন, মিন্দোরো এবং পালাওয়ান) এবং দক্ষিণে বোর্নিও, পূর্ব সুমাত্রা ও বাঙ্কা বেলিতুং দ্বীপপুঞ্জ দ্বারা পরিবেষ্টিত। এটি তাইওয়ান প্রণালী হয়ে পূর্ব চীন সাগর, লুসোন প্রণালী হয়ে ফিলিপাইন সাগর, পালাওয়ানের চারপাশের প্রণালীর মাধ্যমে সুলু সাগর (যেমন মিন্দোরো ও বালাবাক প্রণালী), সিঙ্গাপুর প্রণালী হয়ে মালাক্কা প্রণালী এবং কারিমাতা ও বাঙ্কা প্রণালী হয়ে জাভা সাগরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে। থাইল্যান্ড উপসাগর ও তনকিনের উপসাগরও দক্ষিণ চীন সাগরের অংশ। রিয়াউ দ্বীপের দক্ষিণে অগভীর জলভাগ নাতুনা সাগর নামেও পরিচিত।
দক্ষিণ চীন সাগর | |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ১২° উত্তর ১১৩° পূর্ব |
ধরন | সাগর |
যার অংশ | প্রশান্ত মহাসাগর |
নদীর উৎস |
|
অববাহিকার দেশসমূহ | |
পৃষ্ঠতল অঞ্চল | ৩৫,০০,০০০ বর্গকিলোমিটার (১৪,০০,০০০ মা২) |
দ্বীপপুঞ্জ | List of islands in the South China Sea |
ট্রেঞ্চ | Manila Trench |
জনবসতি | Major cities
|
দক্ষিণ চীন সাগর অসাধারণ অর্থনৈতিক ও ভূ-কৌশলগত গুরুত্বের একটি অঞ্চল। বিশ্বের সামুদ্রিক নৌ পরিবহনের এক-তৃতীয়াংশ সাগরটির মাধ্যমে সংগঠিত হয়, প্রতি বছর ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বাণিজ্য বহন করে।[1] বিশ্বাস করা হয়, যে সাগরটির সমুদ্রতলের বিশাল খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ নিচে রয়েছে।[2] এতে লাভজনক মৎস্যও রয়েছে, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার লক্ষ লক্ষ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সম্মিলিতভাবে বেশিরভাগ ছোট জনবসতিহীন দ্বীপ, দ্বীপপুঞ্জ (কেস এবং শোলস), রিফ/এটলস এবং শত শত সংখ্যক সমুদ্রসীমার সমন্বয়ে বেশ কয়েকটি দ্বীপপুঞ্জের গুচ্ছ নিয়ে গঠিত দক্ষিণ চীন সাগর দ্বীপপুঞ্জ বিভিন্ন দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতিদ্বন্দ্বী দাবির অধীনে রয়েছে। এই দাবিসমূহ দ্বীপ ও সাগরের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন নামের মধ্যেও প্রতিফলিত হয়।