বিজ্ঞান হল এমন এক ধরণের জ্ঞান যা পর্যবেক্ষণ, প্রকল্প বাস্তবায়ন, পরীক্ষণ এবং কোন বিষয়ের ব্যাখ্যা বা ঘটনার ভবিষ্যৎবাণীর কারণ দেখানোর ক্ষেত্রে যুক্তি প্রমাণ উপস্থাপনের মাধ্যমে গঠিত হয়। পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষণ এবং সূক্ষ্ণতর কারণ ব্যাখ্যন, এ সবই বিজ্ঞানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এর পাশাপাশি বিজ্ঞানের জগতে নিয়মানুবর্তিতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় যা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কাজ করার জন্য আবশ্যক। এ ধরণের পদ্ধতির মথ্যে প্রথমেই আসে প্রস্তাবিত প্রকল্পকে উপযুক্ত পরীক্ষণ এবং যুক্তির মাধ্যমে সত্যায়িতকরণ। এ ধরণের সত্যায়িত প্রকল্প সময়ের প্রয়োজনে এক সময় সত্যের মানদন্ড হিসেবে পরিগণিত হয় এবং কালক্রমে একটি সূত্রের মর্যাদা পায়; তবে বিজ্ঞানে কোন কিছুই অপরিবর্তনীয় নয়। পরবর্তীতে অধিক নির্ভরযোগ্য তত্ত্ব এই প্রতাষ্ঠিত তত্ত্বকেও নাকচ করে দিতে পারে। এভাবেই এগিয়ে চলে বিজ্ঞান।
থেলিস প্রাচীন গ্রীক গণিতশাস্ত্র, জ্যোতির্বিদ্যা এবং দর্শনের জনক হিসেবে নন্দিত। তিনি এশিয়া মাইনরের একজন ধনী ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন প্রাচীন গ্রীসের ৭ জ্ঞানী ব্যক্তির একজন যাদেরকে সোফি বলা হয়। ইতিহাসবেত্তা ডায়োকেনিস লিরটিয়াস এর মতে ৩৯তম অলিম্পিয়াডের সময় অর্থাৎ ৬২৪ খৃঃ পূর্বাব্দে এশিয়া মাইনরের মিলেটাস নামক স্থানে থেলিস জন্মগ্রহন করেন। আর তার মৃত্যু হয় ৫৮তম অলিম্পিয়াডের সময় অর্থাৎ ৫৪৮ থেকে ৫৪৫ খৃঃ পূর্বাব্দের মাঝে কোন এক সময়। তখন তার বয়স ছিল ৭৮ বছর।
থেলিস কিছু যুগান্তকারী উপপাদ্যের জনক। জ্যামিতির পাঁচটি উপপাদ্য প্রণয়নের জন্যই মূলত তিনি বিখ্যাত হয়ে আছেন। উপপাদ্যগুলো হলঃ
একটি বৃত্ত তার যেকোন ব্যস দ্বারা সমদ্বিখন্ডিত হয়।
যদি কোন ত্রিভুজের ভূমি এবং ভূমিসংলগ্ন কোণদুইটি দেয়া থাকে তবেই কেবল ত্রিভুজটি আঁকা যাবে।
বর্তমানে এগুলোকে খুব সরল মনে হলেও তৎকালীন সময়ের জন্য এগুলো ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মিশরে এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলত আর এই আলোচনাগুলোকেই উপপাদ্যগুলো সাধারণ সত্যে পরিণত করেছিল। আরও জানুন...
সুশ্রুত ( সংস্কৃত: सुश्रुत) প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসক এবং সুশ্রুত সংহিতা গ্রন্থটির মূল লেখক হিসাবে পরিচিত। মহাভারত, প্রাচীন ভারতীয় মহাকাব্য, তাকে বিশ্বমিত্রের পুত্র হিসাবে উপস্থাপন করেছে, যা সুশ্রুত সংহিতার বর্তমান সংযোজনের সাথে মিলে যায়। কুঞ্জলাল ভিসাগ্রত্ন মতামত দিয়েছেন যে এই অনুমান করা ঠিক যে সুশ্রুত যেই বংশের নাম ছিল সেটা তেই বিশ্বমিত্র ছিলেন। তিনি " অস্ত্রোপচারের জনক " ও "প্লাস্টিক সার্জারির জনক" হিসাবে পরিচিত।
সুশ্রুত সংহিতা চিকিৎসার ক্ষেত্রে বেঁচে থাকা প্রাচীনতম গ্রন্থগুলির মধ্যে একটি এবং এটি আয়ুর্বেদের মূল পাঠ হিসাবে বিবেচিত হয়। এই গ্রন্থটি সাধারণ চিকিৎসার সমস্ত দিককেই সম্বোধন করেছে, তবে অনুবাদক জি. ডি. সিংহল সুশ্রুতকে কাজের জন্য শল্যচিকিৎসার বিশদ বিবরণ হিসাবে "অস্ত্রোপচারের জনক" বলে অভিহিত করেছেন। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
... খাদ্য নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো প্রজাপতি মাছের কিছু প্রজাতি খুব বাহানা করে, প্রবাল ছাড়া আর কিছুই খেতে চায় না?
... দশ বছর বয়সে, একটি মেয়ের শরীরে একই বয়সের একটি ছেলের তুলনায় গড় চর্বির পরিমাণ থাকে মাত্র ৫% বেশি, কিন্তু বয়ঃসন্ধির শেষে এসে এই পার্থক্য হয় ৫০%-এর কাছাকাছি?
... কিছু ঝুমঝুমি সাপ আছে যেগুলো ডিম পাড়ার বদলে সরাসরি বাচ্চা সাপের জন্ম দেয়?
... সামান্য কিছু ব্যাক্টেরিয়া এবং ছত্রাক ছাড়া মৃত সাগরে কোন মাছ বা উদ্ভিদ বাঁচতে পারে না?
... স্যার আইজাক নিউটনের সময় অনেকে বিশ্বাস করত যে প্রিজম নতুন রঙের আলো সৃষ্টি করে?
নিচের বিষয়শ্রেণীগুলোর অধীনে সবগুলো নিবন্ধ সাজানো আছে। [►] চিহ্নে ক্লিক করলেই উপ-বিষয়শ্রেণী দেখতে পাবেন।