শতমূলী
উদ্ভিদের গণ / From Wikipedia, the free encyclopedia
{{একাধিক সমস্যা
এই নিবন্ধটি অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত। (জুন ২০২০) |
এই নিবন্ধটি ইংরেজি উইকিপিডিয়ার অনুরূপ নিবন্ধ অনুবাদ করে সম্প্রসারণ করা যেতে পারে। (জুন ২০২০) অনুবাদ করার আগে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশাবলী পড়ার জন্য [দেখান] ক্লিক করুন।
|
}}
শতমূলী | |
---|---|
চাষ করা শতমূলীর একটি আটি | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
মহাজগত: | সংবাহী উদ্ভিদ (ট্র্যাকিওফাইট) |
জগৎ/রাজ্য: | উদ্ভিদ (প্লান্টি) |
গোষ্ঠী: | সংবাহী উদ্ভিদ ট্র্যাকিওফাইট |
ক্লেড: | সপুষ্পক উদ্ভিদ (অ্যাঞ্জিওস্পার্মস) |
গোষ্ঠী: | মনোকট্স (Monocots) |
বর্গ: | Asparagales |
পরিবার: | Asparagaceae |
উপপরিবার: | Asparagoideae |
গণ: | Asparagus L. |
প্রজাতি: | A. officinalis |
দ্বিপদী নাম | |
Asparagus officinalis L. | |
প্রতিশব্দ[1] | |
তালিকা
|
শতমূলী (ইংরেজি: Asparagus) সবজি হিসাবে ব্যবহৃত একবীজপত্রী উদ্ভিদ। পুঁথির মালার মতো গাঁটযুক্ত সঞ্চয়ী গুচ্ছমূলবিশিষ্ট বলে এর নাম শতমূলী। শতমূলী (Asparagus) Liliaceae পরিবারের একটি বহুবর্ষজীবী লতানো উদ্ভিদ। এর ইউনানি নাম সাতাওয়ার, আয়ুর্বেদিক নাম শতাবরী ও শতমূলী এবং বৈজ্ঞানিক নাম Asparagus racemosus Willd.
এরা বড় গাছকে আশ্রয় করে বেঁচে থাকে। এ গাছের লতায় বাঁকানো কাঁটা থাকে। সরু মুলা ও গাজরকে একসঙ্গে বেঁধে রাখলে যেমন দেখায়, শতমূলীর শিকড়কে ঠিক সে রকমেই দেখায়। শতমূলীগাছের পাতাগুলো সরু সুতার মতো। সে জন্য কিছুটা দূর থেকে এদের দেখতে খুব সুন্দর লাগে। অনেকে শোভাবৃদ্ধির জন্য শখ করে বাড়ির সামনে বাগানে ফুল গাছের সঙ্গে শতমূলীগাছ লাগিয়ে থাকেন। তা ছাড়া এ গাছের পাশে কোনো বড় গাছ থাকলে শতমূলী নিজে থেকেই তাকে জড়িয়ে বড় হয়।
শতমূলীর গোড়ায় একগুচ্ছ কন্দ মূল থাকে। শরতে শতমূলীর ফুল ও ফল হয়, পাকে মাঘ-ফাল্গুন মাসে। শতমূলীর ফল হয় ছোট মটরের মতো সবুজ রঙের এবং পাকলে সেই ফল লাল বর্ণ ধারণ করে।
শতমূলী আমাদের দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের বনাঞ্চলে ও শালবনে পাওয়া যায়। বিভিন্ন বাগানেও চাষ করা হয়। বংশবিস্তারের জন্য বীজই প্রধান মাধ্যম। উষ্ণ নাতিশীতোষ্ণ পরিবেশে এবং বালুযুক্ত মাটিতে এ গাছটি ভালো জন্মায়। বীজ বপনের আগে বীজ ২৪ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়। বীজের অঙ্কুরোদগম হতে ১০-১৫ দিনের মতো সময় লাগে। অঙ্কুরিত চারার বয়স দুই থেকে তিন মাস হলে তা রোপণের উপযুক্ত হয়। কন্দমূল থেকেও চারা করা যায়। এপ্রিল-মে মাসে বীজ বপনের উপযুক্ত সময়।
শতমূলীর ভেষজ গুণাবলি অপরিসীম। শতমূলীর ফল আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং বায়ু নিঃসরণে এটি দারুণ কাজ করে। বাত ব্যথা ও স্নায়ু দুর্বলতায় শতমূলীর ছালের রসের সঙ্গে রসুন বেঁটে একসঙ্গে মিশিয়ে প্রলেপ দিলে ব্যথা ভালো হয়ে যায়। আমাশয় হলে শতমূলীর মূলের রস তিন-চার চা চামচ তিন থেকে সাত দিন প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে খেলে আমাশয় ভালো হয়। এ ছাড়া এটি আমাদের অন্ত্রের কৃমি দূর করে এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া শতমূলীর মূলের রস নিয়মিত খেলে আমাদের নার্ভের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং চোখ ও রক্তের নানা সমস্যা দূর হয়।