![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/9/92/Landlocked_countries.svg/langbn-640px-Landlocked_countries.svg.png&w=640&q=50)
স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র
জলসীমা না থাকা রাষ্ট্র / From Wikipedia, the free encyclopedia
[[চিত্র:Landlocked countries.svg|thumb|upright=2|
{{legend|#810081|দ্বি-স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্রসমূহ[lower-alpha 1] ]]
স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র একধরনের দেশ বা রাষ্ট্র যার ভূখণ্ড কোনো সমুদ্রের সাথে সংযুক্ত নয় কিংবা তার উপকূলরেখার পুরোটাই অন্তর্বাহী হ্রদের উপর অবস্থিত। বর্তমানে বিশ্বে ৪৪টি বহুল স্বীকৃত স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র রয়েছে, যার মধ্যে দুটি রাষ্ট্র দ্বি-স্থলবেষ্টিত (উজবেকিস্তান ও লিশটেনস্টাইন)। এছাড়াও তিনটি সীমিত স্বীকৃতিপ্রাপ্ত স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র রয়েছে। কাজাখস্তান বিশ্বের বৃহত্তম স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র, অন্যদিকে ইথিওপিয়া বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র।[1][2]
সাধারণত কোনো রাষ্ট্র স্থলবেষ্টিত হলে সে এক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয় এবং আন্তর্জাতিক পানির সাথে সংযোগ থাকলে এটি এড়ানো যায়। এই জন্যই ইতিহাসজুড়ে ছোটবড় নির্বিশেষে বিভিন্ন রাষ্ট্র উন্মুক্ত জলরাশি লাভের জন্য লড়াই করেছিল। স্থলবেষ্টিত হওয়ার জন্য অর্থনৈতিক প্রতিকূলতাকে আরও লাঘব হয় যায় বা তীব্রতর হয়ে যায়, যা উন্নয়নের মাত্রা, পার্শ্ববর্তী বাণিজ্যপথ, বাণিজ্যের স্বাধীনতা, ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা ইত্যাদির উপর নির্ভর করে। ইউরোপের কিছু স্থলবেষ্টিত দেশ যথেষ্ট সমৃদ্ধ, যেমন অস্ট্রিয়া, অ্যান্ডোরা, ভ্যাটিকান সিটি, লিশটেনস্টাইন, লুক্সেমবার্গ, সান মারিনো ও সুইজারল্যান্ড। এর মধ্যে লুক্সেমবার্গ ব্যতীত সমস্ত দেশ বৈশ্বিক রাজনৈতিক সমস্যায় অনেকসময় নিরপেক্ষতা পালন করে।
জাতিসংঘ এই ৪৪টি স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্রের মধ্যে ৩২টি রাষ্ট্রকে স্থলবেষ্টিত উন্নয়নশীল দেশ (এলএলডিসি) বলে চিহ্নিত করেছে, যার মধ্যে অনেক দেশই আফ্রিকা, এশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকার অন্তর্গত।[3] নিম্ন মানব উন্নয়ন সূচকবিশিষ্ট (এইচডিআই) ১২টি দেশের মধ্যে ৯টি দেশ স্থলবেষ্টিত।[4] বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উদ্যোগ এইধরনের সমস্যা থেকে সৃষ্ট বৈষম্যকে কমানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে, যেমন জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ১০, যা ২০৩০ সালের মধ্যে বৈষম্য অনেকটা কমানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে।[5]